ঢাকা: বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেছেন, শামসুর রাহমানের কবিতা ধারণ করেছে আমাদের সমাজসত্তার সামগ্রিক বিবর্তন। তিনি আমাদের চেতনার কাব্যিক রূপকার।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) কবি শামসুর রাহমানের ৯২তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আলোচনা সভা ও নিবেদিত কবিতাপাঠের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলা একাডেমি, জাতীয় কবিতা পরিষদ এবং শামসুর রাহমান স্মৃতি পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত। আলোচনা ও স্মৃতিচারণায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, কবি আসলাম সানী, ড. জালাল ফিরোজ ও কবি পিয়াস মজিদ।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ভাষা আন্দোলন পূর্ববাংলার কবিতাকে যেভাবে বদলে দিয়েছে শামসুর রাহমানের কবিতাকেও সে প্রেক্ষাপটে বিচার করতে হবে। নিভৃত কাব্যলোক থেকে তিনি সমকালের রক্তক্ষতে আলোড়িত হয়েছেন, জাতীয় জীবনের মূল কেন্দ্রস্বরকে তার জীবনচেতনায় ভাস্বর করে তুলেছেন। নির্জনতা ও নিঃসঙ্গতা থেকে শামসুর রাহমান যেভাবে জনতার স্বাধীনতাকামী ময়দানে কবিতাকে নিয়ে এসেছেন- তা বাংলা কবিতার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সমাজমানসের বিবর্তনের সঙ্গে শামসুর রাহমানের কবিতাকে মিলিয়ে পাঠ করলে আমরা দেখব তিনি এ অঞ্চলের সমস্ত সংগ্রামী, সদর্থক ও শুভবাদী আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যোগাযোগ অনুভব করেছেন। শিল্পমান অক্ষুণ্ন রেখেও কবিতাকে যে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে আসা যায়- সে সত্য তার কাব্যিক করতলে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। উদ্ভট উটের পিঠে স্বদেশকে চলতে দেখেও তিনিই সেই কবি- যিনি বলতে পারেন ‘বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে। ’
কবিতাপাঠে অংশ নেন কবি সানাউল হক খান, ফারুক নওয়াজ, ঝর্না রহমান, খালেক বিন জয়েনউদ্দিন, তপন বাগচী, লিলি হক, হানিফ খান, হাসনাইন সাজ্জাদী, এম আর মনজু, নুরুল হালিম ও মেজবাহউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
ডিএন/টিএ