বইমেলা থেকে: শিশুদের হাসি, উচ্ছ্বাস, দৌড়াদৌড়ি, খুনসুটি, মান-অভিমান, বড়দের সঙ্গে আড়ি, ঝগড়া, কান্না, লাফালাফি আর আবদার; এসবের মধ্য দিয়েই জমে উঠে ছুটির দিনের বইমেলা। তবে এবার তার কিছুই নেই।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) ছুটির দিন হলেও ফাঁকা বইমেলা। সকালে গেট খুলে দেওয়ার দীর্ঘক্ষণ পর থেকে আসতে থাকেন হাতে গোনা দর্শনার্থীরা। বেলা ১২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে পড়ে অল্প কিছু মানুষের পদচারণা। এসময় কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে দেখা মেলে একজন-দু’জন শিশুরও।
এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের নিয়ে এসে প্রাপ্তির চাহিদার তুলনায় একটু হতাশায়ই পড়ছেন অভিভাবকরা। আর প্রকাশকরা বলছেন এবার শিশুরা না আসায় তারাও মিস করছেন শিশুদের। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে শিশুরা ছাড়া মেলার প্রথম ভাগ একদমই অন্যরকম লাগে।
এ বিষয়ে চিলড্রেন বুকস সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী জগলুল সরকার বলেন, মেলার প্রথম প্রহরে শিশুরা না এলে আমাদের ভালো লাগে না। বই বিক্রি বড় বিষয় না, কিন্তু আমরা শিশুদের বই প্রকাশ করি, তাদের জন্য কাজ করি, এমন অবস্থায় শিশুরাই যদি না আসে, তাহলে কীভাবে চলে। যারা আসছে বাবা-মায়ের হাত ধরে, তাদের সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত। ঠিকঠাক বিক্রিও নেই। অন্য মেলার ছুটির দিন আর এবারের মেলার ছুটির দিনের মধ্যে পার্থক্য অনেক।
মেলায় আগত অভিভাবক ইসমত আরা পলি বলেন, সকাল সকাল বাচ্চাদের নিয়ে মেলায় এলাম। কিন্তু এখানে এসে বেশ হতাশ হলাম। ভেবেছিলাম শিশুপ্রহর না থাকলেও অন্তত অনেকেই আসবেন। বাচ্চারা অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে একটু মেলামেশার সুযোগ পাবে। কিন্তু তা তো হচ্ছে না। এ চত্বরসহ পুরো মেলায় যেন একেবারে ফাঁকা।
তিনি বলেন, বই পড়িয়ে বা বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে শিশুদের মেধার বিকাশ যেমন হয়, তেমনি একে অন্যের সঙ্গে মেলামেশাও একটা বড় বিষয়। সমবয়সী অনেকের মাঝে থাকলে নিজেকে বিভিন্নভাবে আবিষ্কার করা যায়। সেদিক থেকে এবাবের মেলায় মানুষের উপস্থিতি একেবারেই কম।
এদিকে বিকেলের দিকে মেলায় আসছেন পাঠকরা। নতুন বই হাতে নিয়ে পাতা উল্টে যেমন দেখছেন, তেমনি কিনছেনও।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২১
এইচএমএস/ওএইচ/