ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ভারতে গবেষণার জন্য স্বীকৃতি পেল ড. নূরুন নবীর বই

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
ভারতে গবেষণার জন্য স্বীকৃতি পেল ড. নূরুন নবীর বই

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে গবেষণার জন্য ভারতের ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিভাগে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও বিজ্ঞানী ড. নূরুন নবীর লেখা দুটি বই।  

বই দুটি হলো- ‘বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের যুদ্ধাপরাধ ও প্রেসিডেন্ট নিক্সন- ড. কিসিঞ্জারের দায়’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারত’।

 

লেখক তার যুদ্ধ জীবনের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন বই দুটিতে। মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ে লেখক ড. নূরুন নবীর এ পর্যন্ত ১৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য- অনিবার্য মুক্তিযুদ্ধ, জন্ম ঝড়ের বাংলাদেশ, বাংলাদেশে পাকিস্তানের যুদ্ধাপরাধ ও প্রেসিডেন্ট নিক্সন- ড. কিসিঞ্জারের দায়, জাপানিদের চোখে বাঙালি বীর, স্মৃতিময় নিপ্পন, আমার একাত্তর, জন্মেছি এই বাংলায়, আমেরিকায় জাহানারা ইমামের শেষ দিনগুলি, শামসুর রাহমান-স্বাধীনতার কবি, অন্তরঙ্গ আলোচনায় বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ববন্ধু, Born in Bangla, Bangabandhu and Turbulet Bangladesh, BULLETS of’71 A Freedom Fighter’s Story. 

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২০ সালে তাকে একুশে পদক দেওয়া হয়।  

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ড. নূরুন নবী। নেতৃত্ব দিয়েছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে। যুদ্ধের সময় ভারতের আর্মি অফিসারদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সান্ত সিং, মেজর জেনারেল গিল এবং লেফটেনেন্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৯৭২ সালে ফারইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউতে তাকে ‘দ্য ব্রেইন অব কাদেরিয়া বাহিনী’ বলে উল্লেখ করেছিল। সম্প্রতি আনুষা নন্দকুমার এবং সন্দীপ স্যাকেটের লেখা- The War that Made R&AW বইটির একটি অধ্যায়ে- ড. নূরুন নবীর বীরত্ব, বিচক্ষণতা ও সাহসিকতার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের আগের ১০ দিনের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে।  

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক ছাড়াও বিজ্ঞানী হিসেবে ড. নূরুন নবীর খ্যাতি রয়েছে বিশ্বব্যাপী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে কোলগেট টুথপেস্টসহ প্রায় ১০০টি পণ্যের পেটেন্ট আবিষ্কারক।  

৩শ’ বছরের পুরনো এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রন্থাগার হিসেবে পরিচিত ভারতের ন্যাশনাল লাইব্রেরি। ড. নূরুন নবী জানান- ‘পৃথিবীর বৃহত্তম একটি গ্রন্থাগারে গবেষণা করার জন্য একজন লেখকের দুটি বই নির্বাচিত হওয়া যে কোনো লেখকের জন্য সম্মান ও গৌরবের। এর মাধ্যমে ভারতবর্ষের নতুন প্রজন্ম এবং পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের গবেষক যদি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে গবেষণা করতে চান, তারা সঠিক তথ্য সহযোগিতা পাবেন বই দুটির মাধ্যমে’।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।