ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সম্মাননা পেলেন আশরাফুল-রফিকুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সম্মাননা পেলেন আশরাফুল-রফিকুল

ঢাকা: বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার আয়োজনে তেত্রিশতম জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসবে সম্মাননা পেলেন একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবৃত্তিশিল্পী আশরাফুল আলম ও সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে তাদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

সম্মাননা প্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে আশরাফুল আলম বলেন, জগতের বিপুল কর্মযজ্ঞের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। আমি আজ তার নামাঙ্কিত সম্মাননা পেলাম জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা হতে৷ এ সম্মাননাটি আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানের৷

রফিকুল আলম বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত এ সম্মাননা আমার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী দিনে যেন এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো৷ 

বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একাত্তরের কণ্ঠসৈনিক তপন মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক পীযূষ বড়ুয়া ও নির্বাহী সভাপতি আমিনা আহমেদ এসময় মঞ্চে আসীন ছিলেন।

রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসবের উদ্বোধন ও সম্মাননা প্রদান শেষে বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় সংগীত পরিবেশনা।

উদ্বোধনী পর্বে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে সুরতীর্থ, সঙ্গীতভবন, বিশ্ববীণা, বুলবুল লতিকলা একাডেমী (বাফা) ও উত্তরারণ। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর ছিল পর পর দুটি কোরাস।

মধ্যে বিরতি নিয়ে বিকেল ৫টা থেকে হবে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান।

পরদিন ২৬ নভেম্বর (শনিবার) বিকাল ৫টা থেকে হবে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান। এবারের উৎসবের সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০ জন শিল্পী একক ও দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে রয়েছেন বুলবুল ইসলাম, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, রোকাইয়া হাসিনা, অদিতি মহসিন, ড. অরূপ রতন চৌধুরী, চঞ্চল খান, লিলি ইসলামসহ বেশ ক’জন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী।

দুই দিনের অনুষ্ঠানে গানের পাশাপাশি আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশ নিচ্ছেন বাকশিল্পী আশরাফুল আলম, জয়ন্ত রায়, বেলায়েত হেসেন. মাহমুদা আখতার ও রেজিওয়ালী লীনা।

তেত্রিশতম (ত্রয়োত্রিংশ) এ উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে করোনাকালে যেসব শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কবি ও সংস্কৃতজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
এইচএমএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।