ঢাকা: বাংলাদেশে এভিয়েশন সিকিউরিটির ক্ষেত্রে ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্ট, যুক্তরাজ্যের (ডিএফটি) বেশ কিছু কার্যক্রম করোনাকালীন স্থগিত করা হয়। স্থগিত হওয়া প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে বেবিচক কার্যালয়ে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়ানোর প্রস্তাবনাসহ একযোগে কার্যক্রম নেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।
ডিএফটির পুরাতন প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে নতুন প্রকল্প নেওয়ার মাধ্যমে এয়ারপোর্টের সার্বিক ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে বলে বেবিচক চেয়ারম্যান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় দু’দেশের এভিয়েশন সেক্টরে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর ও বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এ সময় দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর জন্য দু’দেশের বিমান সংস্থাগুলো অনুরোধ করার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘এভিয়েশন কমিউনিক’ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের বিষয়টি রাষ্ট্রদূত তুলে ধরেন।
বেবিচক চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূতকে বর্তমান সরকার কর্তৃক এভিয়েশন সেক্টরের ক্রমবর্ধমান সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের চিত্র তুলে ধরেন এবং যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা, বিশেষ করে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার গুণগত মান বাড়ানোর লক্ষ্যে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বিমানবন্দরের অপারেশনাল ও মেইন্টেনেন্স কাজে সহযোগিতা করার বিষয়েও রাষ্ট্রদূত আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরে নতুন বিমান কেনাসহ এভিয়েশন সেক্টরের অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত।
আলোচনা শেষে বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের মধ্যে এভিয়েশন ক্ষেত্রে যোগাযোগ আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
এমকে/এএটি