ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

নীলফামারীতে ঘন কুয়াশায় প্লেন চলাচল ব্যাহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৪
নীলফামারীতে ঘন কুয়াশায় প্লেন চলাচল ব্যাহত

নীলফামারী: নীলফামারীর ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট ওঠা-নামা করেনি।

 

ফলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসরকারি দুটি এয়ারলাইন্সের একটি করে ফ্লাইটের ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছেন। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া কার্যালয়।  

বিমানবন্দর আবহাওয়া কার্যালয়ে তথ্য মতে, সকাল ৯টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সকাল ৬টায় ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ কমে যাওয়ায় নীলফামারীর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৯টা পর্যন্ত এ অঞ্চলে দৃষ্টিসীমা ৫০ মিটারের কম ছিল।  

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হাকিম বলেন, মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে বিমানবন্দর এলাকা। সকাল ১০টায় রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ১০০ মিটার। দুপুর ১২টায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০ মিটার।  

তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামার জন্য দৃষ্টিসীমা দুই হাজার মিটার থাকতে হয়। আশা করি, ঘণ্টা দুয়ের মধ্যে কুয়াশা কেটে যাবে। আর তখন ফ্লাইট চালু করা যাবে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা ব্যাহত হয়েছে। ফলে সূচি অনুযায়ী সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ইউএস-বাংলা, সকাল ১১টায় নভোএয়ার এবং দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ বিমানসহ মোট তিনটি ফ্লাইট ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেনি।  ঘন কুয়াশার কারণে ফ্লাইট বিলম্বিত হলেও বাতিলের শঙ্কা নেই। কুয়াশা কেটে যাচ্ছে, তাই অল্প সময়ের মধ্যে ফ্লাইট স্বাভাবিক হবে।

এদিকে তীব্র শীত থেকে রক্ষা পেতে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিচ্ছেন। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।  

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, তীব্র শীতের কারণে সকাল থেকে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে বহির্বিভাগে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।