কাছে-পিঠের দেশ, মন্দিরের দেশ নেপাল। এমনিতেই হিমালয় পর্বতমালায় ঘেরা, তার ওপর ডিসেম্বর মাসে প্রচণ্ড শীত।
যাওয়ার আগে ঢাকা কলেজ ও এলিফ্যান্ট রোড থেকে শীতের কাপড় কিনে এমন ভয়াবহ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, যেন এভারেস্ট বা অন্নপূর্ণা অভিযানে যাচ্ছি। কিন্তু আদতে নেপাল গিয়ে বেশ কিছু শীতের কাপড় কাজেই লাগেনি। তাই বলে শীতের সময় দুই-তিন প্রস্থ শীতের কাপড় কিন্তু নিতে ভুলবেন না। ওগুলো ছাড়া মানিয়ে নিতে পারলে ভাল, নইলে দরকারের সময় খুঁজে পাবেন না।
নাগরকোটের শীত আমলে না নিয়ে উপায়ই ছিল না। ক্রিসমাসের ছুটি ও শুক্রবার মাঝখানে রেখে কয়েক দিনের ছুটিতে ৭-৮টি পরিবার মিলে আমরা উঠে বসলাম বাংলাদেশ বিমানে। তাড়াহুড়োর কিছু নেই, অবরোধ চলছে। ফ্লাইট দুপুর ২টায়। এক ঘণ্টা দশ মিনিটে পৌঁছে গেলাম ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট, কাঠমান্ডুতে। পোর্টএন্ট্রি ভিসা। আমরা সবাই এক লাইনে দাঁড়িয়ে গেলাম শুধু ডা. সুব্রত ও তার পরিবার বাদে। ওরা ২য় বারের জন্য নেপাল গিয়েছিল কিনা-তাই তাদের আলাদা অভ্যর্থনা।
বেশ গোছানো ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট। নামতেই হিমহিমে হাওয়া বলে দিল-নেপাল এসেছি। টুরিস্টবাসও এসে গেল। গাইড মনিষা মহাজন আমাদের রিসিভ করার পর আমরা পৌঁছলাম হোটেল এভারেস্টে।
এয়ারপোর্ট থেকে হোটেল যাওয়ার পথে দেখলাম অপূর্ব কাঠমান্ডু শহর। ছিমছাম, সুন্দর। চারদিকে বলতে গেলে আকাশে আকাশে পাহাড়। কাঠমান্ডু একরকম পাহাড়ি শহর। আমাদের চট্টগ্রামের মতো। তখন সন্ধ্যা। পাশেই আজবোক হোটেলে মম খেলাম। অপূর্ব স্বাদ। হোটেলেই ছিল ডিনারের বন্দোবস্ত। তার আগে সবাই মিলে হেঁটে বেড়ালাম আশপাশে। বিছানায় শরীর এলিয়ে দিতেই রাজ্যের ঘুম।
পরদিন সকালে নাস্তা করার জন্য নিচে নামলাম। দোসা খেতে গিয়ে পঞ্চগড়ের নুরুভাইয়ের সাথে পরিচয়। নেপালি মেয়ে বিয়ে করে সেখানেই স্থায়ী বসতি গেড়েছেন। তার আন্তরিকতায় মনে হলো ঢাকাতেই আছি।
গাইডেড ট্যুরে গিয়েছিলাম আমরা। ট্যুর প্ল্যান আগেই চুড়ান্ত করা। কাঠমান্ডুর কাছেই পাটান টেম্পেল দেখতে গেলাম নাস্তা সেরেই। পাটান মন্দিরের প্রাচীন শহর। মনে হচ্ছিল হঠাৎ যেন কোনো যাদুবলে হাজার বছর পেছনে চলে গেছে। অপূর্ব বিস্ময়কর কারুকাজ মন্দিরে মন্দিরে। সেদিনই ভুবনেশ্বর মন্দিরের পাহাড় চূড়ায় উঠলাম। দেখেই চোখ জুড়িয়ে গেল। বানরের মেলা। ওখানে পাথরের তৈরি মালা সস্তাতেই পাওয়া যায়। ঝালমুড়ি, পানিপুড়ি খেলাম। বেশ মজা।
পরদিন সকালে আমরা পোখারার উদ্দেশে রওনা হলাম। একটা স্পটে চা খাবার জন্য নামলাম। কলার দাম করলাম। ‘এককেলে দশ রুপাইয়া’ শুনে স্প্রেবিহীন কলা খাওয়ার ইচ্ছা চলে গিয়েছিল। পথিমধ্যে মনকামনা মন্দির দেখতে গেলাম। সেখানকার অন্যতম আকর্ষণ রোপওয়ে ভ্রমণ। ৬-৮ জন করে একেকটি কেবলকারে উঠে বসেছি। সব বাচ্চারা একসাথে থাকতে চায়। ওদের ম্যানেজ করা বেশ কষ্টসাধ্য।
নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে ত্রিশুলা নদী। তিন নদীর মিলনমেলা এখানে। নীল, স্বচ্ছ পানি। কেবল কার উঠে যাচ্ছিল পাহাড়ের শীর্ষে। মন্দির সেখানেই। পাশে ছড়িয়ে আছে ছোট-বড় পাথর। জাফলং এর কথা মনে পড়ে গেল। অত উঁচু থেকে নদী, ঝাউবন, কমলা বাগান, উঁচ উঁচু পাহাড় বেশ ভয়ঙ্কর আর অপূর্ব লাগছিল।
আমরা সেসব নিচে ফেলে উঠছি ওপরে। আমরা মনোকামনা মন্দিরে পৌঁছেছিলাম লাঞ্চ আওয়ারে। কেবলকারে ভ্রমণে আমাদের ১ ঘণ্টা দেরি হয়েছিল। ‘মনোকামনা মন্দির দেখে মনোকামনা পূরণ করে যখন নীচে নামছিলাম, সেও এক দারুন ভয় ভয় অভিজ্ঞতা।
ত্রিশুলা নদীকে ডানে রেখে পোখারার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ঘাড় ব্যথা হয়ে গেল। মনে হচ্ছিল নদীর পাড়েই সময় কাটাই। দুপুরের খাবার স্পটে আমরা সময়মতো পৌঁছতে পারি নাই।
যখন পৌঁছলাম তখন বিকেল। ওরা দ্রুত আমাদের ধোয়া ওঠা গরম ভাত, ডিমের ওমলেট দিয়ে খাবার পরিবেশন করল। পেট পুরে খেলাম। সারাদিনের কষ্ট ভুলে গেলাম।
পোখারা পৌঁছতে রাত হয়ে গেল। হোটেল ল্যা-মার্ক। কাঠের কারুকাজ করা স্থাপনা। নিচের লবিতে স্থানীয় নৃত্যশিল্পীদের নাচ-গান চলছিল। হোটেলে চেকইন করেই অনুষ্ঠান দেখতে বসে গেলাম। বাচ্চারা ওয়াইফাই এর কানেকশন পেয়ে গেম খেলতে বসে গেল।
রাতের খাবার শেষ করে আমরা বেরিয়ে পড়লাম আশপাশের মার্কেটে। একটু ভ্রমই হলো পাতায়ার মতো কোনো শহরে এসে পড়েছি কি না। নিরাপদ পরিবেশ। হৈহল্লা নেই, অথচ কতো লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে!
পরদিন সকালে দেবী’স ফল আর গুপ্তেশ্বর মন্দিরের গুহা দেখতে বাসে রওনা দিলাম। দেবী’স ফল একটা ঝর্না। মিষ্টি ঝরঝর শব্দে পানি নেমে আসছে বিভিন্ন খানাখন্দর ফোকর গলিয়ে। পাশে উঁচু পাহাড়।
আমরা নেমে গেলাম ঝর্নার কাছাকছি। এরপর রাস্তার ওপাড়ে গেলাম গুহা অভিযানে। যেরকম খাড়া অন্ধকার গুহা দেখলাম, আমার সামান্য অভিজ্ঞতায় এই প্রথম। নামবো না, নামবো না করেও প্রায় সবাই একদম পাতালের কাছাকাছি পৌঁছে গেলাম যেন। নামতে তেমন কষ্ট হয়নি। কিন্তু কিভাবে ওপরে ফিরে আসবো ,এই ভেবে নামার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিলাম।
গাইড মনীষা সাহস যোগাল। বললো যদি না যাও নেপালে আসাটাই অপূর্ণ থেকে যাবে। একথা শুনে নিচে নামতে শুরু করলাম। নামছি তো নামছি...
ক্রমশ পানির শব্দ কানে আসছে। দেবী’স ফল এই গুহার মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। অপূর্ব! অন্ধকার আর আলোর মিশেল। গুহার গা চুইয়ে পানি ঝরছে। ভিজে যাচ্ছে পায়ে চলার পথ। মনে হচ্ছিল এই বুঝি পা পিছলে পড়ি। পাথুরে গুহা, এবড়ো থেবড়ো সিঁড়ি-রাস্তা। কখনও মাথা উঁচু কখনও নিচু করে চলছি।
নিচ থেকে ওঠার সময় কিছুটা হাপিয়ে গিয়েছিলাম। যতই ডা. কুহুর আর আমার শ্বাসকষ্ট হোক না কেন ,যদি না নামতাম সত্যিই মিস করতাম। ধন্যবাদ মনীষাকে।
এরপর থামেলের মার্কেটে ঢুকে পড়লাম সবাই। মনে হলো ঢাকা কলেজের বিপরীতে দোজা, নুরজাহান মার্কেটে ঢুকে পড়েছি। দামাদামি করে সস্তায় সবাই কেনাকাটা করল। ডাক্তার দম্পতি কাকন আর ফারাহর গিফট করা ব্রেসলেটটা এখান থেকে কেনা। বিকেলে বরাহ্ তাল-লেকে সবাই বোটিং এর জন্য গেলাম। তাল মানেই অবশ্য লেক। ফেউয়া লেক নামেও পরিচিত। আবার লেকের মাঝখানে বরাহ মন্দিরটাই আবার কারো কারো মুখে বরাহ তাল মন্দির নামে শোনা যাচ্ছিল।
ঐদিন প্রচণ্ড কুয়াশা ছিল। এজন্য বোটিং এর সময় হিমালয় পর্বতমালা স্পষ্ট দেখতে পাইনি। কুয়াশার চাদরে ঢাকা তীব্র শীতে নৌকায় ওঠার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। যদিও আমি নদীর দেশের মানুষ। শীতের নদীতে গ্রামের বাড়ি গিয়েছি বটে, কিন্তু এই শীত সেই শীত নয়। লেকের মাঝখানে একটা দ্বীপের মধ্যে মন্দির। পাহাড়ের গায়ে গায়ে মানুষের বসতি। দেখতে দারুণ। প্রতিদিন লোকজন পাহাড়ের গা বেয়ে জীবিকার টানে নামে ওঠে। অন্যরকম অনুভূতি।
আমরা সমভূমির মানুষ। এমনটা আমরা ভাবতেই পারি না। পরদিন ভোর সাড়ে ৫টায় অন্ধকারে সারাংকোটের উদ্দেশে বাসে উঠে পড়লাম। আরামের ঘুম হারাম করে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কুহুর বিশেষ পরামর্শে কেনা ওভারকোট গায়ে জড়িয়ে রওনা হলাম।
আমরা অন্ধকারে আলো আঁধারির মাঝে দল বেধে পাহাড়ের গা বেয়ে উপড়ে উঠছি। সানরাইজ দেখার জন্য ওপরে কয়েকটি ভিউ পয়েন্ট আছে। অন্ধকারে যেতে যেতে দুই দলে ভাগ হয়ে পড়লাম। দিগন্তের ছাই রঙা অন্ধকার ক্রমশ কেটে যাচ্ছে, আর মানুষ, গাছপালা, পাহাড় প্রকৃতি, আকাশ, মেঘরাশি সব আস্তে আস্তে ফুটে উঠছিল চোখের সামনে।
পুবের আকাশ লালিমায় অন্নপূর্ণা রেঞ্জের ৩, ৪, মাছাপুচ্ছা শৃঙ্গের চূড়ায় সোনালী রঙের ছটায় এক মনোরম দৃশ্যের অবতারণা হলো। এ ভোলার নয়। চোখের সামনে সোনায় সোনায় চমকানো পাহাড়শ্রেণি, আর নিচে মেঘের সমুদ্র। সেসব যে নদী বা সাগর নয় বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। পাহাড়ের গা বেয়ে নামলাম। এই মেঘের নদী আর বান্দরবানের নীলগিরির মেঘমালার তেমন কি কোন তফাৎ আছে?
এরপর নাগরকোটের উদ্দেশ্যে ৮-৯ ঘণ্টার জার্নি। কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাওয়ার পথে ত্রিশুলা নদীর নানা ভ্রুভঙ্গি দেখতে দেখতে ক্রমশ নিচে নেমেছিলাম। বলতে গেলে পাহাড়শ্রেণির নিচে পোখারা। আর নাগর কোট ঠিক উল্টো।
আবার কাঠমান্ডু ফিরলাম পাহাড়ি পথে ওপরে উঠতে উঠতে। তারপর পাহড়ের আরও ওপরে পাহাড়ের গা কেটে তৈরি এই শহর। আর পোখারা এর বিপরীত। পাহাড়ের পাদদেশের শহর। উপরে উঠছি আর উঠছি। পাশে গভীর খাদ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। স্থানীয় লোকজন অনেকে মোটরবাইক ব্যবহার করেন। অন্ধকারে পাহাড়ের গায়ে আলোর বিন্দুগুলো লোকালয়ের আশ্বাস দিল।
পোখারা থেকে নাস্তা সেরে সেই যে ভোরে উঠেছি আর এখনও বাসে। আর ভাল লাগছে না। শেষ পর্যন্ত হোটেল কান্ট্রিভিলায় এসে পৌঁছলাম। খুবই সুন্দর পরিবেশে পাহাড়ের গা কেটে বানানো হোটেল। ধাপে ধাপে আমাদের রুমগুলো খুঁজে বের করার আনন্দটাই ছিল অন্যরকম। লুকোচুরি খেলার জন্য খুবই মজার জায়গা।
চাবি হাতে সবাই রুম খুঁজে বেড়াচ্ছে। কেউ নামছে, কেউ উঠছে। রুম পাওয়া যাচ্ছে না। সনাতনী ফ্লোর সিস্টেমে যে রুমটা ওপরে হওয়ার কথা, এখানে সেটা নিচে। আবার নিচেরটা আছে ওপরে। তাই গোলক ধাঁধাঁ। শেষ পর্যন্ত যে যার রুমে ঢুকতে পরলাম।
প্রত্যেক রুমের সাথে ঝুল বারান্দা। অন্ধকারে ওপর থেকে নিচের গহীন জঙ্গলের সৌন্দর্য অনুভবের আনন্দ, ভাষায় প্রকাশ করার নয়। রাতের খোলা আকাশের নিচে লবিতে ছোটবড়দের ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে ধুমসে আড্ডা, সাথে গরম কফি, মম। রাত বেড়েই চলেছে, কেউ ঘুমানোর নাম মুখে আনছে না। এই ছিল নেপালের শেষ রাত। পরদিন ভোরে সূর্যদয় দেখার অপেক্ষা।
হাড় কাঁপানো শীত। বারান্দায় বের হয়ে দেখি দেশি-বিদেশি ট্যুরিস্ট যে যার বারান্দায় ক্যামেরা তাক করে বসে আছে। ক্যামেরা তো নয়, মস্ত মস্ত যুদ্ধ সামগ্রী যেন। বিশাল ক্যামেরা, তার সঙ্গে লেন্স লাগিয়ে গায়ে ওভার কোট চাপিয়ে কোরিয়ান-জাপানি-ইউরোপীয় ক্যামেরাম্যানরা অপেক্ষায়। যেন সূর্য উঠলেই গোলাগুলি শুরু হয়ে যাবে।
এরকম তৎপরতা এর আগে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। সবার ধৈর্য পরীক্ষা নিয়ে সূর্যের উকি। রুমে বসেও এই দৃশ্য উপভোগ করা যায়। অন্নপূর্ণা রেঞ্জের ১, ২ চূড়া এখান থেকে দেখা যায়। খোলা ব্যালকনিতে বসে পাহাড়, পাহাড়ের গায়ে সবুজ গাছপালা, নীলা আকাশ সাথে নিয়ে সকালের নাস্তা করার পরিবেশ অতুলনীয়।
ফেরার পথে ভক্তপুরে নামলাম। কিছুই বাদ দেওয়ার মতো নয়। এটিও প্রাচীন মন্দিরের অপূর্ব শহর। আমরা যেন ঢুকে গেলাম ইতিহাসের বইয়ের পাতায়। সেখান থেকে সরাসরি ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট থেকে প্রিয় ঢাকার উদ্দেশ্যে।
এই লেখার শিরোনাম দিয়েছি কা-পো-নায় ৬দিন। এবার ভেঙেই বলি-আমরা নেপাল গিয়ে এবার তিনটে শহর দেখেছি-কা- মানে কাঠমান্ডু গিয়ে ২ রাত , পো-খারাতে ২ রাত, আর না- মানে নাগরকোটে ছিলাম মাত্র একদিন। অনেকটা নিরুপায় হয়েই, ঢাকায় অবরোধের আতঙ্ক। শুক্রবারে জার্নি শেষ করা চাই। সফরসঙ্গী সবার তাগিদ ছিল। নইলে এয়ারপোর্ট থেকে কেমন করে বাসায় ফিরবো সেই টেনশনে। তারপরও নাগরকোটে আরেকটা রাত না থাকতে পারার আফসোস রেখেই ফিরতেই হলো।
ভ্রমণ যাদের নেশা, বেড়ানোর সুযোগ এলে যারা উড়িয়ে দেন সব বাধা, কাজের অংশ হিসেবে যারা ভ্রমণ করেন কিংবা যাদের কালেভদ্রে সুযোগ হয় ভ্রমণের তারা সবাই হতে পারেন ট্রাভেলার্স নোটবুক’র লেখক। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন বাংলানিউজের পাঠকদের সঙ্গে। আর মাস শেষে ‘ট্রাভেলার্স নোটবুক’র সেরা লেখকের জন্য তো থাকছেই বিশেষ আকর্ষণ..
আর একটা কথা লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেনই না, সেই সঙ্গে বাতলে দিন সেখানে যাওয়ার পথঘাটের বিবরণও।
আপনার ভ্রমণ আনন্দ বিশ্বজুড়ে বাঙালির কাছে ছড়িয়ে দিতে আমাদের ই-মেইল করুন- [email protected] এই ঠিকানায়।
ডা. সুলতানা আলগিন
সহযোগী অধ্যাপক, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪