ঢাকা: নিজেদের আর্থিক দূরবস্থা কাটিয়ে উঠতে নানা কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। সাম্প্রতিক এই বেহাল দশা থেকে বের হতে তারা শেয়ারবাজার থেকে আবারো ২০০ কোটি টাকা উত্তোলনের উদ্যোগ নিয়েছিলো ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ।
তবে ইউনাইটেডের এই টাকা উত্তোলনে বাধ সেধেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ইউনাইডে এয়ার যাতে কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে টাকা তুলতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আর্থিক অস্বচ্ছতা, বাইরের অডিটর দিয়ে অডিট নিষ্পত্তি না করাসহ বিভিন্ন অডিট আপত্তি উঠেছে। গত ৮ এপ্রিল এই চিঠি দেয় বেবিচক।
এর আগে ইউনাইটেড এয়ার কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছিল। এবারও একই কৌশলের আশ্রয় নেয়। তবে এয়ারলাইন্সের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেবিচকের দৃষ্টিতে বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ায় বিএসইসিকে চিঠি দিতে বাধ্য হলো। বেবিচকের কাছে পাওনা ৫৭ কোটি টাকা দিতে না পারায় তাদের ওপর এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেশন (এওসি) স্থগিতের খড়গ নেমে এসেছিলো। এ অবস্থায় সম্প্রতি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বেবিচকের কাছে পাওনা ৫৮ কোটি টাকার ২৮ কোটি টাকা মওকুফের আবেদনও করেছিল অর্থমন্ত্রীর কাছে।
সর্বশেষ গত ৭ এপ্রিল বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের উপস্থিতিতে পাওনা অর্থের এক কোটি টাকা দিয়ে পুনরায় এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেশন (এওসি) পেল ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। বিগত প্রায় ১০ মাস ধরে ইউনাইটেড এই পাওনার কোনো অর্থই পরিশোধ করছিল না।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৪