ঢাকা, বুধবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

খুলনায় লবন পানি ঠেকানোর উপায় গবেষণায় কুয়েট ও ফকুই বিশ্ববিদ্যালয়

রহমান মাসুদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১১
খুলনায় লবন পানি ঠেকানোর উপায় গবেষণায় কুয়েট ও ফকুই বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা: লবনাক্ত পানির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে খুলনা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলকে রক্ষার উপায় খুঁজতে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও জাপানের দুই বিশ্ববিদ্যালয়।

এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও জাপানের ফকুই ইউনিভার্সিটি যৌথ গবেষণার ঘোষণা দিয়েছে।

তবে প্রথমে এ অঞ্চলে পানীয় জলের সংকট মোকবেলার উপায় খোঁজা হবে। এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেসরকারি পর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠান দু’টি কাজ করছে।

এ বিষয়ে খুলনা প্রকেশৈল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমে এ অঞ্চলের পানীয় জলের সমাধান করা হবে। ’

তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে লবন পানিকে সূর্যের তাপের মাধ্যমে প্রথমে বাস্পে রুপান্তর করে পরে তা ঠান্ডা করে পানযোগ্য করা হবে। ’

ড. মুহাম্মদ আলমগীর আরো বলেন, ‘বর্তমানে এ প্রযুক্তি উন্নত বিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে জাপান তাদের প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা সরবরাহ করবে আর আমরা আমাদের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা সমন্বয় করব। ’

এ সম্পর্কে যৌথ গবেষণার বাংলাদেশ সমন্বয়ক ও খুলনা প্রযুক্তি ও প্রোকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খন্দকার শফিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে কুয়েটের ছাত্র ও শিক্ষকদের নিয়ে আমি এ গবেষণা শুরু করি তিন বছর আগে। ’

তিনি জানান, ‘ব্যক্তিগত পর্যায়ের এ গবেষণা এখন বৈশ্বিক রূপ পেয়েছে। কিন্তু এ গবেষণায় এখন পর্যন্ত কোনো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে জাপানী বিশ্বাবদ্যালয় এ গবেষণায় অর্থ চেয়ে কিছু দিনের মধ্যেই ‘জাইকার’ কাছে আবেদন করবে। ’

এদিকে লাখ লাখ মানুষের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে জাইকা এ প্রকল্প প্রস্তাব পাওয়ার পর ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে বলে জাইকার ঢাকা অফিস জানায়।

উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি মঙ্গলবার খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ত পানির সমস্যা ও তার সমাধানের উপায় খুঁজতে খুলনায় আসেন তিন সদস্যের জাপানী প্রতিনিধিদল।

জাপানের ফুকুই ইউনিভার্সিটির রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন সেন্টার ফর রিজিওনাল এনভায়রনমেন্ট বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. তেরুইউকি ফুকুহারা-এর নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন ফুকুই মেডিকেল ইউনিভার্সিটি-এর ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট হেলথ স্কুল অব মেডিসিন এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইউকিনরি কুসাকা এবং ফুকুই ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিটি হেলথ নার্সিং এর প্রফেসর মিকা হাসেযাওয়া।

এ সময় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর কনসাল্টেন্সি, রিসার্চ অ্যান্ড টেস্টিং সার্ভিস (সিআরটিএস) পরিচালক প্রফেসর ড. খো. মো. শফিউল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সময়:১৭১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।