ঢাকা: বাংলানিউজে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
একইসঙ্গে তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি ঘটনার সাথে সংশ্লি¬ষ্টদের বিরুদ্ধেও যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেই বাংলানিউজের অনুসন্ধানে ধরা পরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি। রাতেই দুই সেট প্রশ্নপত্রের কপিও বাংলানিউজের হাতে আসে। সেদুটি সেটসহ বৃহস্পতিবার দিবগত মধ্যরাতেই বাংলানিউজের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তবে শুক্রবার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের ওপরই নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার দিনেও রাতে প্রকাশিত খবরের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে বাংলানিউজ এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে। এ অবস্থায় অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমও এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করতে থাকে।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যমের অনলাইন সংস্করণ এবং টেলিভিশন চ্যানেলে পরিবেশিত সংবাদের প্রতি খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
তথ্য বিরবণীতে এ বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের একটি ব্যাখ্যাও তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়:
‘‘খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক ও নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে লিখিত পরীক্ষার কথিত প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসাথে এ ঘটনার সাথে সংশ্লি¬ষ্টদের বিরুদ্ধেও যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ (শুক্রবার) দেশের ২১টি জেলায় খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক এবং নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মুদ্রণের কোন প্রক্রিয়ায় খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদপ্তরের কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা সংশ্লি¬ষ্ট ছিলেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউিট (আইবিএ) এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে। প্রস্তুতকৃত প্রশ্ন আইবিএ সিল-গালা অবস্থায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রেসে পাঠায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রশ্নপত্র মুদ্রণ করে সিল-গালা করে তা প্রেস অফিসে অবস্থানকারী খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের কাছে হস্তান্তর করে। প্রেস অফিস থেকেই সিল-গালাকৃত প্রশ্নপত্র বিভিন্ন জেলায় প্রেরণের জন্য সংশ্লি¬ষ্ট জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধির (ম্যাজিস্ট্রেট) কাছে হস্তান্তর করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটগণ প্রশ্নপত্র নিয়ে সংশ্লি¬ষ্ট জেলার ট্রেজারিতে রাখেন। আজ পরীক্ষার সময়ে ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র সংশ্লি¬ষ্ট জেলার পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ফলে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের আগে প্রশ্নপত্রের বিষয়বস্তু সম্পর্কে খাদ্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের কোন পর্যায়ের কর্মকর্তার পক্ষে কোন কিছু জানা সম্ভব ছিল না।
উল্লে¬খ্য, সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শকের ৪২৮টি পদের বিপরীতে দু’লাখ ১৮ হাজার এবং নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকের ৫০৩টি পদের বিপরীতে ৩০ হাজার প্রার্থী পরীক্ষার্থীয় অংশ নেয়ার জন্য মনোনীত ছিলেন। ’’
- খাদ্য উপ-পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র সেট শাপলা দেখতে ক্লিক করুন
- খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁস : রাজারহাটে আটক ৮
- ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রেই খাদ্য বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষা
- পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সত্যতা মিলেছে- কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক
বাংলাদেশ সময় ২০৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১২