ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব পদে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নির্বাচিত ঘোষণার পরপরই তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে নেতাকর্মীদের ভিড় জমেছিল দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। তবে, ছুটে আসা নেতাকর্মীদের ফুল নিয়েই ফেরত যেতে হচ্ছে।
বুধবার (৩০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসা ফখরুলকে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব মনোনীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই ঘোষণায় মুহূর্তেই যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঢল নামে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। ফখরুলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে কার্যালয়ে ছুটে আসতে থাকেন ঢাকা মহানগর বিএনপির থানা-ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও।
কিন্তু কিছুক্ষণ পরই খবর আসে, নাশকতার একটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণে যাওয়া ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই খবরে ফুল নিয়ে ছুটে আসা নেতাকর্মীদের চোখেমুখে হতাশা নেমে আসে। তাদের অনেকে কার্যালয়েই চরম হতাশা প্রকাশ করে ফুল নিয়েই ফিরে যেতে থাকেন।
এদিকে, ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর খবর পাওয়ার পর তৎক্ষণাৎ নয়াপল্টনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি নবনির্বাচিত মহাসচিবকে কারাগারে প্রেরণের কড়া নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির বিদায়ী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেন, জাসাস সভাপতি আব্দুল মালেক প্রমুখ।
অন্যদিকে, কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা না পেলেও আদালত কক্ষেই নেতাকর্মী ও আইনজীবীদের অভিনন্দন পেয়েছেন ফখরুল। তার মহাসচিব মনোনীত হওয়ার খবর এসে পৌঁছালে তিনি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে শুনানি শেষে ৩ মামলার মধ্যে ২টিতে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। অন্য মামলাটিতে জামিন পান তিনি। ফলে অভিনন্দনের ফুল নেওয়ার পর পরই কারাগারে যেতে হয়েছে বিএনপির নতুন এই মহাসচিবকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
এমএম/এইচএ