ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

বিএনপির ‘কঠিন সময়ে’ এক থাকতে বলছেন ফখরুল

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৬
বিএনপির ‘কঠিন সময়ে’ এক থাকতে বলছেন ফখরুল

ঢাকা: বিএনপি বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে স্বীকার করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই কঠিন সময় পার করে সামনের  দিনগুলোতেও সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

 

ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে দেশের বৃহৎ স্বার্থে এক না থাকলে দল নিশ্চিহ্ন হয়ে দেশের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

 

বুধবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউটে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন ফখরুল। জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা পেলেও শাসকরা তাদের চরিত্র বদলায়নি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে নজরুলের কবিতা সাহস যোগায়। তার কবিতা আন্দোলিত করে, উজ্জীবিত করে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সংবাদপত্রে নজরুল নেই। বিশেষ ক্রোড়পত্র নেই। কোনো প্রবন্ধ নেই। অথচ তিনি আমাদের জাতীয় কবি। টেলিভিশনেও তাকে অবহেলা করা হচ্ছে। এর জবাব সরকারকে অবশ্যই দিতে হবে।

ফখরুল বলেন, বিএনপি অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করে না। আপোষ করে না। জিয়াউর রহমানের মতো স্বাধীনতার পতাকা নিয়ে আন্দোলন করছেন খালেদা জিয়া। তিনি ত্যাগ স্বীকার করছেন।

বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, আমাদের কিছু ত্রুটি থাকতে পারে, তবে গণতন্ত্রের জন্য আপোস করবো না।

পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য সরকার কাজ করছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, মামলা দিয়ে কীভাবে খালেদা জিয়াকে কারান্তরীণ করা যায় সে কাজ করছে সরকার। সব ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যা কিছু ঘটে বিএনপির উপর দায় চাপানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি নেই বলে বক্তব্য দেন, অথচ প্রতিটি বক্তব্যে বিএনপিকে প্রতিপক্ষ বানানো হচ্ছে। ভিন্নমত পোষণকারীদের হত্যা করছেন আপনারা। অথচ বিএনপিকে দোষারোপ করেন।

ফখরুল অভিযোগ করেন, জামায়াত এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে, আর পৃষ্টপোষকতা করছে বিএনপি। সরকারের এমন বক্তব্য দেওয়া হলে তদন্তকারীরা কোনো দিকে না তাকিয়ে বিএনপি নেতাদেরই চিহ্নিত করবেন। ফলে সুষ্ঠু তদন্ত বাধাগ্রস্থ হয়।

তিনি বলেন, ইতালীয় নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যার পর বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছিলাম। অথচ সরকার সেসময় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কোনো তদন্ত ছাড়া এতচেটিয়াভাবে বিএনপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তার মানে প্রকৃত দোষীদের আড়াল করছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, কাগজে-কলমে পরাধীন নয়, কিন্তু পরাধীন হয়ে আছি। আজ কোনো অধিকার নেই। শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বিনা দোষে আটকে রাখা হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এমন করা হচ্ছে। ভিন্নমত নিয়ন্ত্রণে দমননীতি অবলম্বন করছে তারা।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা আবদুল হাই শিকদার, যুগ্ম-মহাসচিব ও যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৬
এমএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।