ঢাকা: ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ সব অপরাধের বিচার চান বিএনপির শরিক দলের নেতারা। তারা একই সঙ্গে এই মামলাটি যেন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রেখে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রশাসনকে।
বছর ঘুরে আবারও আসছে ২১ আগস্ট। দিনটির বিষয়ে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক সেনা প্রধান মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, যেকোনো অপরাধেরই বিচার হওয়া উচিত। তবে এই ঘটনার বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।
২১ আগস্টের বিচার প্রসঙ্গ নিয়ে আলাপকালে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মো. ইব্রাহীম বলেন, বিচার হওয়া উচিত, বিচার হওয়া উচিত এবং বিচার হওয়া উচিত। কারণ এটি একটি বড় ঘটনা। এ ঘটনায় অনেক লোক মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। বিচার না হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে এই ঘটনায় যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাৎ হোসেন সেলিমও বিচার চাইলেন ২১ আগস্টের ঘটনার। তিনি বলেন, সব অপরাধের মতোই এটিও একটি ঘটনা। সব ঘটনারই বিচার হওয়া উচিত মনে করি।
বাংলাদেশ ন্যাশনার আওয়মী পার্টির মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, এটি একটি ভয়াবহ ঘটনা। অবশ্যই এর বিচার হওয়া উচিত। তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যেম করতে হবে যাতে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি ফেঁসে না যান।
এই মামলাই নয়, কোনো মামলাই যেন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কেউ ব্যবহার করতে না পারেন সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়, যে হামলায় ২৪ জন নিহত হন এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনাসহ প্রায় ৩০০ মানুষ আহত হন। হামলায় নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রী আইভী রহমান অন্যতম, যিনি বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী। এ বছর রোববার (২১ আগস্ট) সেই ভয়াবহ দিন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই সময়ের বিএনপি জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু, হরকাতুল জিহাদ প্রধান মুফতি হান্নান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৬
এমএম/আইএ