ঢাকা: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতার ইস্যু খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরে টিকে থাকতে চান খালেদা জিয়া। কিন্তু এতে তার শেষ রক্ষা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া রাজনৈতিকভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তাই তিনি ভাবছেন কিছু বাম সংগঠন রামপাল নিয়ে কথা বলছে, তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ ইস্যু নিয়ে কথা বলে টিকে থাকা যায় কিনা। টিকে থাকার কোনো সুযোগ নেই। ডুবন্ত মানুষের মতো খড়কুটো ধরে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
খালেদাকে পাকিস্তানের এজেন্ট অবহিত করে হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট, এটা বারবার প্রমাণিত। বিএনপি আইএসআই পরিচালিত।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে হানিফ বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতিই ভারত বিরোধী। পাকিস্তান কখনও ভারতের পক্ষ নিতে পারে না। বিএনপি পাকিস্তানের সৃষ্টি একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপি এখন আদালতের কাঠগড়ায়।
তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের সফলতা রয়েছে। পরিবেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
যে সরকারের প্রধানমন্ত্রী চাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুস্কারে ভূ’ষিত হন সেই সরকার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
হানিফ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হবে কি হবে না সে বিষয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎমন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা পর্যালোচনা ও তথ্য উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবেশের ক্ষতি ও সুন্দরবনের ক্ষতি হয়, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না সরকার। দুই বছর আগে খালেদা জিয়া যুদ্ধোপরাধীসহ, নিজেকে ও নিজের ছেলেকে মামালা থেকে রক্ষার জন্য জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করেছে। ওই আন্দোলনে গাছ কাটা থেকে শুরু করে বনের পশু-পাখিও রেহাই পায়নি। সেই খালেদা জিয়ার মুখে পরিবেশ রক্ষার কথা হাস্যকর।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনটির কর্মীরা ঢাকায় এসে রিকশা চালায় এ জন্য কেঁদেছেন। একজন কর্মীর জন্য দলের নেতাদের দরদ, ভালোবাসা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মামলার কারণে পালিয়ে আসা কর্মীদের পেট্রোল বোমা মারার দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য কে দায়ী, এ দায়িত্ব কার? এ জন্য আপনারাই দায়ী।
আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিলো। আপনার দলের কর্মীরাতো রিকশা চালিয়ে বেঁচে আছে। আমাদের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬ /আপডেট: ২১৩৮
এসকে/ওএইচ/এএ/এমজেএফ