খুলনা থেকে: পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনকে হুমকির মুখে রেখে কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ না করার ব্যাপারে সরকার ও নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘ন্যাশনালিস্ট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (এনটিএ)।
শনিবার (০১ অক্টোবর) সকালে হোটেল টাইগার গার্ডেনের হলরুমে ‘দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন ভাবনা ও সুন্দরবন’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারের শুরুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মাহমুদুল হাসান লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য যদি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে হয়, সেটি অন্য জায়গায় করা যেতে পারে। সুন্দরবনকে হুমকির মুখে রেখে রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা সমীচীন হবে না। এ ক্ষেত্রে ১৩২০ মেগাওয়াটকে ছোট কয়েকটি ভাগে ভাগ করে দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র করা যেতে পারে।
সুন্দরবন সন্নিহিত অঞ্চল বাদ দিয়ে দেশের যে কোনো স্থানে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে এনটিএ’র সমর্থন থাকবে উল্লেখ করে শেখ মাহমুদুল হাসান বলেন, বিদ্যুৎ যেখানেই উৎপাদন হোক না কেন, জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে তা খুলনা তথা দক্ষিণাঞ্চলে আসবে। সুতরাং অন্য যে কোনো অঞ্চলে প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও সামাজিকভাবে বাস্তব যে কোনো মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে আমাদের সার্বিক সমর্থন থাকবে।
ন্যাশনালিস্ট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (এনটিএ) সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আ ন হ আখতার হোসেন প্রমুখ।
এরই মধ্যে সেমিনারে বক্তব্য দিয়েছেন, সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল আলম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুস সাদাত, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক এস এম এ জামান, অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা শেখ দিদারুল আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৬
এজেড/এমজেএফ/