ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

নির্বাচনে ‘অনিচ্ছা’ তৈমুর আলম খন্দকারের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
নির্বাচনে ‘অনিচ্ছা’ তৈমুর আলম খন্দকারের

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ‘অনিচ্ছা’ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তবে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের ব্যাপারে দলের চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ‘অনিচ্ছা’ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তবে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের ব্যাপারে দলের চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে শহরের মাসদাইরে অবস্থিত নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তৈমুর আলম এ কথা বলেন।

গতবারের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে একেবারে ভোটের ৭ ঘণ্টা আগে দলের সিদ্ধান্তের কারণে তাকে সরে দাঁড়াতে হয়। এবারও নির্বাচনে দলের জেলা-মহানগর শাখার পক্ষ থেকে তৈমুরকেই প্রার্থী হিসেবে চাওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, দলের নেতাকর্মীরা আমাকে নির্বাচনে চাইছেন, সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা দলে দলে আমার বাসায় এসে আমাকে নির্বাচনের জন্য অনুরোধ করছেন। নেতাকর্মীদের এতো ফোন আসছে যে, আমি মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রেখেছি। সবাইকে জানিয়েছি নির্বাচনের ব্যাপারে দলীয় চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তই শেষ সিদ্ধান্ত, তবে আমি নির্বাচন করতে ইচ্ছুক নই। কারণ বিগত নির্বাচনে আমাকে প্রার্থী করে ভোটের ৭ ঘণ্টা বসিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু ঠিক কী কারণে আমাকে বসানো হয়েছে সে প্রশ্নের উত্তর আজও পাইনি।  

বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন যারা কিনা নির্বাচনের কারণে ১১ জন নিহত হলেও সেই সংবাদ জানে না বলে ঘোষণা দেয়, সেই নির্বাচন কমিশনের ওপর আমার বিন্দুমাত্র আস্থা নেই। তারপরও দলীয় নেত্রীর সিদ্ধান্তই হবে শেষ সিদ্ধান্ত। তিনি যা বলবেন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি তা পালন করবো।  

দলীয় সূত্রমতে, শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করেন তৈমুর আলম। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবুল কালাম, বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খান, নগর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।  

বৈঠকে খালেদা জিয়া সিটি নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে নেতারাও তাদের এবং দলের অবস্থান তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।