ঢাকা: রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আপাতত সংকট নিরসন এবং সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টির জন্য সরকারের প্রতি কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার স্ট্রেইট স্টেটমেন্ট (স্পষ্ট বক্তব্য) মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের এ দেশে আশ্রয় দেওয়া হোক।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘রোহিঙ্গা সংকট: রাষ্ট্র নাকি মানবতা?’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে সেন্টার ফর ন্যাশনালিজম স্টাডিজ (সিএনএস)।
ফখরুল বলেন, আজ মায়ানমারের জনগণকে যেভাবে পাশবিক নির্যাতন করা হচ্ছে, বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম কিছু আমি দেখি না। আমার দেশেও একইভাবে গণতন্ত্রপ্রার্থীদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যেদেশে বৌদ্ধদের দীক্ষা অহিংসা, সেখানে এ ধরনের অপরাধ কিভাবে হতে পারে। আমরা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের পক্ষপাতী নই। কিন্তু অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় যদি আমার দেশের শান্তি নষ্ট করে, তাহলে সে বিষয়ে আমাদের অবশ্যই হস্তক্ষেপ করা উচিত।
কেবল মায়ানমার নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।
সেমিনারে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সরকার আছে অংসান সু কির মত নোবেলের আশায়। জনগণের ভাষা বোঝা বা শোনার ইচ্ছে তাদের কখনোই ছিলো না। তাই সংকট নিরসনে আমাদেরই ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নাকি ফেরত পাঠাতে হবে। আমরাও চাই তারা ফেরত যাক। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ফেরত পাঠানো হোক। আর সরকার তাদের আশ্রয় দিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুক।
বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা সুকুমার বড়ুয়া বলেন, কতোটা অসহায় হয়ে এখানে আসছে রোহিঙ্গারা। আর সরকার তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য কতোটা মর্মান্তিক। আমাদের কি উচিত নয় তাদের দুঃখগুলোর ভাগ নিতে?
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলালের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
জেডএফ/এইচএ/