ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনকে উপরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিয়ম অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, নির্বাচন নিয়ে তারা বাহাদুরি দেখাচ্ছে। কিন্তু জনগণ এতো বোকা না। ভেতরে কী ষড়যন্ত্র হয়েছে তা জনগণ ভালোই বুঝতে পেরেছে। নির্বাচন উপরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট।
খালেদা বলেন, এ নির্বাচন কমিশনের সময় শেষ হয়ে গেছে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই নতুন নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ না হয় তাহলে আগামী সংসদ নির্বাচনও নিরপেক্ষ হবে না। আমরা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। আওয়ামী লীগ বলছে রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই তারা মেনে নেবেন। কিন্তু তারা কি রাষ্ট্রপতিকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে দেবেন! তারা যাই বলবেন তাই রাষ্ট্রপতি শুনতে বাধ্য হবেন।
বর্তমানে এ দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা, নাগরিক অধিকার, গণতন্ত্র কিছু্ই নেই অভিযোগ করে থালেদা জিয়া বলেন, এ দেশে আইন দুই ধরনের। আওয়ামী লীগের জন্য এক, বিএনপি’র জন্য আর এক। আওয়ামী লীগের অপরাধীরা অপরাধ করে পার পেয়ে যায় আর বিএনপি কোনো অপরাধ না করেই হয়রানি, জেল জুলুমের শিকার হয়।
যে যে অবস্থায় রয়েছে, সে অবস্থা থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি’র কাছে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজন নেই, এমনটা দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা হিন্দু, খ্রিস্টানদের সমান চোখে দেখি। এজন্য সব সম্প্রদায়ের লোককে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে। এ প্রথা চালু করেছেন স্বয়ং সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আমরা সেই প্রথাই অনুসরণ করে চলছি। কিন্তু আওয়ামী লীগই হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, সাঁওতালের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্ররায়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
এজেড/আইএ