বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দায়িত্বপালনরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা ও যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তাদের এ অবস্থান।
২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস হিসেবে পালন করার জন্য শনিবার (০৭ জানুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি।
এ জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কর্তৃপক্ষ পিডব্লিউডি এবং সমাবেশের নিরাপত্তা ও মাইক ব্যবহারের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনের (ডিএমপি) কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি দেয় বিএনপি।
এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পিডব্লিউডি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের অনুমতি দিলেও ডিএমপি থেকে সমাবেশের অনুমতি দেয় নি।
সমাবেশের ২১ ঘণ্টা আগে শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) বিকেল নয়াপল্টন ভাসানী মিলনায়তে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না হলেও নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চান।
কিন্তু বিএনপির এ প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে শনিবার (০৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। কার্যালয়ের প্রধান ফটক পেছনে ফেলে দু’টি পুলিশ প্রাচীর তৈরি করে রাখা হয়েছে।
পুলিশের বেশ কয়েকজন মহিলা সদস্য বিএনপি কার্যালয়ের নিচে খোলা রুমটাতে অবস্থান নিয়েছেন। আশ-পাশের গলিতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তারা অবস্থান করছেন।
এ ছাড়া বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে একটি জলকামান, একটি এপিসি, দু’টি পুলিশভ্যান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে এখান থেকে পল্টন থানার যুবদল নেতা নিজামউদ্দিন, কর্মী ইউনুস ও শহীদকে আটক করেছে পুলিশ।
সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় কাযালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কার্যালয়ের সামনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিন্যাস দেখে মনে হচ্ছে ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় শুধু নয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও যুদ্ধাংদেহী পরিবেশ বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
এজেড/এসএইচ