খালেদার আইনজীবীদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।
হাজির হওয়ার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে যেতে পারেননি।
খালেদার বিরুদ্ধে ১১টি মামলার মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রদ্রোহের একটি, দারুস সালাম থানার নাশকতার আটটি ও যাত্রাবাড়ী থানার দু'টি মামলা।
গত বছরের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে'।
ওই দিন খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না’।
এছাড়া ২০১৫ সালে মিরপুরের দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
এ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
গত বছর ওই ১১টি মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
অভিযোগপত্র দেওয়ার পর গত বছরের ০৫ এপ্রিল এসব মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন খালেদা জিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
এমআই/এএসআর