ভোট গ্রহণের প্রথম সাড়ে তিন ঘণ্টার মাথায় বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, নতুন এ নির্বাচন কমিশন তাদের উপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে সরকারের ইচ্ছা পূরণে কাজ করছে।
স্থানীয় প্রশাসন ক্ষমতাসীনদের বর্ধিত অংশ হিসেবে কাজ করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের একক কর্তৃপক্ষ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তারা স্থানীয় প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে বাধ্য করতে পারছে না। নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব অগ্রাহ্য করা হচ্ছে।
কুসিক নির্বাচন নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য অগ্নি পরীক্ষা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে না পারে তাহলে এই কমিশনকে বিদায় নিতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে অবশ্যই এই কমিশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।
রিজভীর অভিযোগ-ভোটকেন্দ্রে নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছে পুলিশ। ধানের শীষের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যারা ঢুকেছেন তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন থাকলেও ভোট দানে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যাতে করে ভোট কাস্ট কম হয়।
তিনি বলেন, মূলত ধানের শীষের পক্ষে প্রবল ঢেউ দেখেই ক্ষমতাসীনরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করছে। ফলে এই নির্বাচন সরকারের প্রভাবমুক্ত হবে কি না, তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এজেড/জেডএম