শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ভোটগ্রহণের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছেন ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘কুমিল্লা নির্বাচন প্রমাণ করে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়’ মর্মে দেওয়া বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বিবৃতি দেন বলেই এ ধরনের বক্তব্য আসে। আরেকটি বিষয় হলো- এ ধরনের বক্তব্য না দিলে সাধারণ সম্পাদকের পদ ও মন্ত্রিত্ব কিছুই থাকবে না।
রিজভী বলেন, ককটেল বোমা ফাটিয়ে ভোটকেন্দ্রের পাশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম, কেন্দ্র দখল করে ব্যাপক জাল ভোট দেওয়া, ব্যালট ছিনতাই করা, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা সৃষ্টি করা, আগের রাতে এলাকায় এলাকায় ভীতির সঞ্চার করা, ভোটের দু’দিন আগে বিএনপির অনেক নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা এবং কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারদের অসহায়ত্বই হলো আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনের নমুনা।
আমি পুনরায় দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, গতকাল (৩০ মার্চ) কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতার যথেষ্ট ঘাটতি ছিলো- অভিযোগ বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের।
রিজভী বলেন, বর্তমান সিইসি মুখে যতই সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলুক না কেন তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছেন। যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হতো, তাহলে ভোটের ব্যবধান হতো অর্ধ লক্ষাধিক।
তবুও এতো অনাচার ও নির্বাচনী সন্ত্রাস ভেদ করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভোটাররা ভোট দিতে গেছেন এবং ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করেছেন- বলেন রিজভী।
‘নৌকা মার্কা বুকে নিয়ে ভোটাররা ভোট দিয়েছে ধানের শীষে’-গয়েশ্বরচন্দ্র রায় ও আব্দুল্লাহ আল নোমানের দেওয়া এমন বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, স্থানীয় ভোটাররা কৌশল হিসেবে এটা করতেই পারেন। তবে বিষয়টি মেজর কোনো ফ্যাক্ট না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানাউল্লাহ মিয়া, আজীজুল বারী হেলাল, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
এজেড/এএ