ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

করুণা নয়, তিস্তার পানি ‍অধিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
করুণা নয়, তিস্তার পানি ‍অধিকার

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ভাটির দেশ হিসেবে সকল আন্তর্জাতিক নদীর পানির হিস্যা আমাদের অধিকার। এটা কারও দয়া-দাক্ষিণ্য বা করুণার বিষয় নয়।

বুধবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পর্কে ২০ দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত হয়।

এতে ২০ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে তিস্তা আলোচনায় সম্পৃক্ত করায় বাংলাদেশের সার্বভৌম মযার্দা ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি দুই সার্বভৌম দেশের মধ্যকার বিষয়। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ভারতের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় সম্পৃক্ত করায় বাংলাদেশের সার্বভৌম মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে।

ভারতের চাহিদা মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব কিছু দিয়ে এসেছেন অভিযোগ করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, বাংলাদেশের প্রস্তাবিত গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণের ব্যাপারে ভারতের সম্মতি আদায়ে ব্যর্থ হয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন এই প্রকল্পের উপযোগিতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন তিনি। আরও পিছিয়ে গিয়ে প্রকল্পটির স্থান পরিবর্তন এবং নতুন করে সম্ভব্যতা যাচাইয়ের ভারতীয় প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন তিনি।

ভারতের দেওয়া ঋণের টাকায় ভারত থেকেই অস্ত্র কেনার সমঝোতা স্মারকের বিরোধিতা করে খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এখন বিভিন্ন দিক থেকে আন্তর্জাতিক উচ্চমান অর্জন করেছে। পারমাণবিক শক্তির পূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি রয়েছে। এক্ষেত্রে তৃতীয় কোনো দেশের সম্পৃক্ততার ফলে বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।

ভারত সফরের আগে ইমাম সমাবেশ ও ভারত সফরের পরে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদ নিয়ে হেফাজতের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ প্রসঙ্গেও কথা বলেন খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতি এক্সপ্লয়েট করার জন্য শেখ হাসিনা ভারত সফরের আগে আলেম সম্মেলন করেন। ফিরে এসে গতকাল আবার হেফাজতে ইসলাম প্রভাবিত কওমি মাদ্রাসার ওলামায়ে কেরামদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলেমদের সঙ্গে তার অতীত আচরণ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর ক্রমাগত আঘাতের কথা দেশবাসী নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি। এখন তিনি নিজেই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

জোট নেতাদের মধ্যে ছিলেন জামায়াতের মাওলানা আব্দুল হালিম, বিজেপির ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এনপিপির ডা. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এজেড/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।