তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করতে নিজেদের ঘুম হারাম করে ফেলেছেন। এটি শুভ লক্ষণ নয়।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রায় সংশোধনে বল প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, রায় সংশোধনে আওয়ামী লীগ বল প্রয়োগ করছে। এই বল প্রয়োগ জনগণ স্বাভাবিকভাবে নেবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক শুধু উদ্বেগের নয়, ন্যায়বিচারের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করার অশুভ অপচেষ্টারই অংশ। আওয়ামী লীগ যেভাবে জোর করে রায় পাল্টে দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তা বিচারবিভাগের স্বাধীনতায় সরাসরি হস্তক্ষেপের সামিল।
আওয়ামী লীগের নেতারা বিচারপতিকে হুমকি দিচ্ছেন এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর আওয়ামী লীগের নেতারা যেভাবে বিচারপতিদের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন, আবার বৈঠক করছেন, এটাকে দেশবাসী স্বাভাবিক ঘটনা বলে মনে করেন না’।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি দলীয় এমপিদের দ্বারা নির্বাচিত হলেও নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি নামক প্রতিষ্ঠানটি একটা স্বতন্ত্র মর্যাদা লাভ করেন। তিনি তখন রাষ্ট্রের অভিভাবকে পরিণত হন। তখন তিনি আওয়ামী লীগ বা কোন দলের থাকেন না। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক হতেই পারে, কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক কিভাবে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন?
তাহলে আওয়ামী লীগ সরকার কী তাদের ক্ষোভ প্রশমিত করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ব্যবহার করছেন? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের দলের সিদ্ধান্ত তাঁকে জানাতে যাওয়া ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে রায়ে পরিবর্তন আনতে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে জনগণের মনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নির্বাহী বিভাগের নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে মনে করেন রিজভী।
এসময় তিনি বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মী এবং বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এএম/জেডএম