শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এনডিপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আনোয়ার জাহিদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সহায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে সব রাজনৈতিক দলগুলোর মন্তব্য নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কোনো বিবেচনায় আনা হয়নি। তা ছিল শুধু লোক দেখানো। আর এখন এই নির্বাচন কমিশন বলছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতৈক্য সৃষ্টি করা নির্বাচন কমিশনের কাজ না।
অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের (ক্ষমতাসীন দল) সঙ্গে আপোষে চলবে। এ রকম সব অযোগ্য জনবলে পরিপূর্ণ নির্বাচন কমিশন। তাদের দিয়ে ভালো কিছু আশা করা আমাদেরই ভুল।
‘দেশে সাহসী মানুষের যথেষ্ট অভাব রয়েছে’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের চূড়ান্ত ক্ষমতায় যারা থাকে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা কঠিন ও অনেক সাহসের ব্যাপার। সেই সাহস দেখিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আর বিচার বিভাগ দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হলেও যে সরকার গণতন্ত্রের চিহ্ন মুছে দিতে চায় সে সরকারের সঙ্গে এমন আচরণ করা আসলেই সাহসের ব্যাপার।
তিনি বলেন, অন্য সব জায়গা থেকে নির্যাতিত হলেও জনগণ দেশের সর্বোচ্চ আদালতে গিয়ে ঠিকই সঠিক বিচার পাবে। কারণ এটা সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। কিন্তু প্রকাশ্যে সেটা বন্ধ করার দুঃসাহসিক চেষ্টার মাধ্যমে পুরো বিশ্বে নজির স্থাপন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার!
এনডিপির সভাপতি খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমত উল্লাহ, বিএনপি নেতা মঞ্জুর হোসেন ঈশা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
এমএএম/এমএ