বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহারের আদালতে আজাদ সশরীরে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাকে স্থায়ী জামিন দেন।
আজাদের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, অস্থায়ী জামিন পাবার পর থেকেই আজাদ নিয়মিত হাজিরা দিয়েছেন।
তিনি জানান, ঘটনাটি ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর। কিন্তু ওই বছরের ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিবাদী নজরুল ইসলাম আজাদ ছিলেন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফলে তাকে আসামি করাটাই ছিল উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাছাড়া বিবাদী এখনও অসুস্থ। এসব কারণে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। তাছাড়া এ মামলায় ৩৩ আসামির মধ্যে ৩১ জন ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছে।
নজরুল ইসলাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আড়াইহাজারের এ মামলাটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিলো। মূলত আমাকে ঠেকাতেই প্রতিহিংসা বশত সরকার দলীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর নির্দেশে পুলিশ আমাকে, আমার ছোট ভাইসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করান।
২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময়ে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের লোকজন। ওই সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা আমজাদ মারা যান। পরে আমজাদ হোসেনের স্ত্রী বিলকিস বেগম বাদী হয়ে বিএনপির কর্মী সজীবকে প্রধান আসামি এবং বিএনপির বর্তমান সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, তার ছোট রাকিবুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবুসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের সবাই নজরুল ইসলামের সমর্থক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
জিপি/