মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে ‘জেহাদ স্মৃতি সংসদ’ আয়োজিত স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপিল বিভাগে ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে।
দেশের এখন অত্যন্ত দুঃসময় জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত দুঃসময় আর কখনো আসেনি। আমাদের যা অর্জন, চোখের সামনে ধ্বংস করে দিচ্ছে এই হায়েনারা। সর্বশেষ বিচার বিভাগ; ষোড়শ সংশোধধনীর রায়ের পর সেটাকে ধ্বংসের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে এই সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় ষড়যন্ত্র করে প্রধান বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ওরা জানে যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে মানুষ দেয় তবে তারা কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা ড্রিবলিং করে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়।
তিনি বলেন, আমাদের আছে টা কী? বাংলাদেশের মানুষের গর্ব করার মতো আছে একটা স্বাধীনতা, ভাষা আন্দোলন; সেই অর্জনকে ধরে রাখতে চাই। কিন্তু এই সরকার সেটাকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। যা তারা ১৯৭৫ সালে করেছে। তারা বাকশাল কায়েম করতে চায়। তবে মোড়কটা ভিন্ন। এখন তারা আবার ভিন্ন কায়দায় বাকশাল কায়েম করতে চায়।
জেহাদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং ডাকসুর এজিএস ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলমের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম সম্পাদক খাইরুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
এএম/এমজেএফ