ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

জনসভামঞ্চে খালেদা

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
জনসভামঞ্চে খালেদা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ৭ নভেম্বর উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়াদী উদ্যানে আয়োজিত জনসভার মঞ্চে এসে উপস্থিত হয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রায় ১৮ মাস পর বড় আয়োজনে এই জনসভায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন বলে আশা করছেন বিএনপি নেতা-কমীরা। 

রোববার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি জনসভাস্থলে প্রবেশ করেন।  এর আগে দুপুর ২টার পর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে জনসভাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন বিএনপি প্রধান।

 

এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর ২টা থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জনসভা শুরু হয়। তখন থেকেই একে একে বক্তব্য দেন বিএনপির নেতারা।  

জনসভা শুরুর প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর খালেদা জিয়া জনসভাস্থলে পৌঁছালে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়াও হাত উঁচিয়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দিয়ে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান।  

পরে মঞ্চে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বসেন খালেদা জিয়া। ৭ নভেম্বর বিএনপির ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত জনসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, আবদুল্লাহ আল নোমানসহ শীর্ষ নেতারা মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।  

এর আগে গত বছরের ১ মে শ্রমিক সমাবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। শ্রমিক দল আয়োজিত ওই সমাবেশই ছিল বিএনপির প্রকাশ্যে ঢাকায় কোনো বড় সমাবেশ।  

এদিকে রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন সেই সকাল থেকেই। সকাল সোয়া ১১টা থেকে মঞ্চে জাসাসের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাগম ঠেকাতে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে সরকার পরিকল্পিতভাবে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মুখপাত্র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।  

সুষ্ঠুভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দুই হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করেছে বিএনপি। নিরাপত্তার স্বার্থে মঞ্চের আশপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।  

আর এসব কার্যক্রম দেখভাল এবং সমন্বয় করছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

তার সঙ্গে রয়েছেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

রোববার সকাল থেকেই ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় চলাচলকারী গণপরিবহন সীমিত চলাচল করছে। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের সড়কগুলোতে দেখা দিয়েছে চরম যানজট।  

সকাল ১০টা থেকে মঞ্চের আশেপাশ ছাড়িয়ে উদ্যানে জমায়েত হয়েছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়াও মৎসভবন, শাহবাগ, টিএসসিসহ বেশকিছু পয়েন্টে নেতাকর্মীদের অবস্থান নিয়েছেন। তাদের হাতে ডিজিটাল ফেস্টুন ও ব্যানারে রয়েছে  জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি।  

৭ নভেম্বর বিএনপির ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ থাকলেও ঢাকায় কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সম্মেলন হওয়ায় পিছিয়ে রোববার এ জনসভা করছে বিএনপি।  

**বিএনপির জনসভা শুরু
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
আরএম/এমআইএইচ/এমসি/এএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।