বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্র নেতা শামসুজ্জামান দুদু, খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুদ্দিন মনি, খন্দকার লুৎফর রহমান, রফিক সিকদার প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ’৭১ সালে স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ যে কয়েক বছর দেশ পরিচালনা করেছিল সেই সময়ের মধ্যেই দেশের মানুষ তাদের ফ্যাসিবাদী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তারা প্রথমে বিশেষ ক্ষমতা আইন, জরুরি অবস্থা জারি করে। তারপর সব রাজনৈতিক দল বন্ধ করে দিয়ে রাজনীতি বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে তারা কোনো কথা বলে না। তাদের জিজ্ঞাসা করলে বলে, তখন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিত নাকি করতে হয়েছিল।
মিডিয়ার টকশো সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, টকশোতে তাদের দাপটে আমাদের লোকেরা কথাই বলতে পারে না। তাদের সুবিধা আছে। সকল মিডিয়ার টকশো তো তাদের লোকেরাই নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।
তিনি বলেন, আমরা আজ কথা বলতে পারি না। কথা বললেই মামলা দেওয়া হয়। জেল দেওয়া হয়, আবার ফাঁসিও দিয়ে দিতে পারে। সত্য কথা বললেই তারা নারাজ হয়ে যায়। আমরা সংঘাত-সংঘর্ষ চাই না। আমরা জনগণের মত প্রকাশের অধিকার চাই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কেয়ার টেকার কিংবা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলেই তারা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আমি প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা যখন ৯৬ সালে কেয়ার টেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেছিলেন তখন সংবিধান কোথায় ছিল? আসলে তারা জেনে গেছে তাদের পায়ের নীচে মাটি নেই। নিরপেক্ষ ভোট হলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না। তাই তারা ভোট করতে চায় না।
দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপশাসন দূর করতে না পারলে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যাবে না। তাই যুবকদের বলছি, তোমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হও। এই অপশাসকদের বিরুদ্ধে যুবকদের তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
এমএইচ/এমজেএফ