রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় র্যালিটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ মোড় ঘুরে ফের নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা।
বিএনপির দলীয় পতাকার পাশাপাশি ঘোড়ার গাড়ি, জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের প্রতিকৃতি নিয়ে আসেন নেতা-কর্মীরা। ব্যান্ড সঙ্গীতের দলও ছিলো। অনেকে মুক্তিযোদ্ধার সাজ সেজে র্যালিতে অংশ নেন।
এর আগে বিজয় র্যালিতে অংশ নিতে দুপুর ১টা থেকেই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন দলের নেতাকর্মীরা।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির শপথ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ের ৪৬তম বছর পূর্তিতে বর্ণাঢ্য এ র্যালি করলো বিএনপি।
র্যালির আগে ট্রাকের ওপর নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শুধু একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করার জন্যে সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে এই সরকার আমাদের পদদলিত করতে চায়। আমরা বলতে চাই, এভাবে দেশের মানুষকে পদদলিত করে রাখা যাবে না, দাবিয়ে রাখা যাবে না।
র্যালিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, নাজিমউদ্দিন আলম, মহিলা দলের নুরী আরা সাফা, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, রোকেয়া চৌধুরী বেবী, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, অন্যদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, রাজীব আহসান, আসাদুজ্জামান আসাদ, রফিক সিকদার, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির র্যালির কারণে কাকরাইল, বেইলি রোড, রাজারবাগ, মৌচাক, বিজয়নগরসহ বিভিন্ন সড়কে কয়েকশো যানবাহন আটকা পড়ে। সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজটের। দুর্ভোগে পড়েন অসংখ্য যাত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
এমএইচ/এমজেএফ