ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

‘দাবি আদায় করেই নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৮
‘দাবি আদায় করেই নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি’ অ্যাব আয়োজিত প্রতিবাদ সভা/ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করেই বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 

রোববার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হল রুমে অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যাব) আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেছেন। কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের ওপর পুলিশি হামলার বিচার দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে অ্যাব।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। যত চেষ্টা আর ষড়যন্ত্রই হোক না কেন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি। ’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জেনেটিক প্রোভলেম হচ্ছে তারা যখনই ক্ষমতায় আসবে জোর করে ক্ষমতায় বহাল থাকতে চাইবে। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (০৬ জানুয়ারি) দলীয় একটি সভায় জনগণকে বিভ্রান্ত করতে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী। ’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন জনগণ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোট দিয়েছে বলেই আমরা ক্ষমতার ৪ বছর অতিক্রম করতে পেরেছি। প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কোন জনগণের কথা বলেছেন? কোন নির্বাচনের কথা বলেছেন? যে নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি, যে নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, সেই নির্বাচন?’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কথা স্পষ্ট, বারবার জনগণকে ধোকা দেওয়া যাবে না। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা যাবে না। আগামী নির্বাচন হতে হবে সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। ’

সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এতো ভয় কেন? উদ্দেশ্য একটাই ক্ষমতা হারানোর ভয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ কোনো কিছুতেই ছাড় দিচ্ছেন না। তারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে দেশ গভীর অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ’

সরকার বিএনপিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘১/১১ সেনা সমর্থিত সরকারের প্রেক্ষাপট ছিলো মাইনাস বেগম খালেদা জিয়া। তারা বিএনপিকে দুর্বল করতে চেয়েছে। আজ আওয়ামী লীগ সরকার ১/১১ ধারাবাহিকতায় বিএনপিকে দুর্বল করতে ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির সর্বস্থরের নেতাকর্মীদের দমন করে রাখতে ভিত্তিহীন মামলায় নাজেহাল করছে। মূলত এতে করে বর্তমান সরকার অলিখিত বাকশালের মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চাচ্ছেন। ’

অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়ার পথেই হাটছেন শেখ হাসিনা। তিনি গণতন্ত্রের শত্রুপক্ষ। এই সেই আওয়ামী লীগ যারা বাকশালের খাচায় বন্দি ছিলো। ’

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে তাদের নবজন্ম দিয়েছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা আজ আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে পেরেছেন। অথচ তাদের মধ্যে বিন্দু পরিমান কৃতজ্ঞতা বোধ নেই।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক কৃষিবিদ আনোয়ারুন নবী মজুমদার বাবলার সভাপতিত্বে প্রদিবাদ সভায় আরো বক্তব্যে দেন-বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন,  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের সভাপতি কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমএসি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।