বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টায় গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হয়ে বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন তিনি।
সকাল সাড়ে ১১টায় মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন রাজধানীর বকশীবাজার কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামান।
এ সময় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আসামি খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে টানা তৃতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৪ পৃষ্ঠার লিখিত জবানবন্দির কপি জমা দেন খালেদা জিয়া।
দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এ দুটি মামলারই প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন।
আসামিদের মধ্যে জামিনে থাকা দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক। এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দুদক। চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এএম/এমজেএফ