ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

বিএনপি

উদ্দেশ্য কী? জানতে চান নজরুল ইসলাম খান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
উদ্দেশ্য কী? জানতে চান নজরুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখছেন নজরুল ইসলাম খান। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখার উদ্দেশ্য জানতে চেয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার মতো বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ অবস্থার একটা মানুষকে একা একা কারাগারে রাখা, এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। উদ্দেশ্য কী? শুধুই কি তাকে আমাদের কাছ থেকে আলাদা করে রাখা? জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা? নাকি মানসিকভাবে নির্যাতন করে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া? ষড়যন্ত্র কোনটা? চিন্তা করতে হবে।

 

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট আয়োজিত ‘কারাবন্দি খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় বক্তৃতা করছিলেন নজরুল।  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, দেশে অতীতে যেমন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সাহসিকতা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল, ভবিষ্যৎ রাজনীতিতেও তার নির্দেশনা, অংশগ্রহণ ও যোগ্যতা সেটাকে নিরূপণ করবে।

খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপিকে দুর্বল করা যায়নি মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক বেশি সংগঠিত। আর সংগঠিত বলেই দলের নেতৃত্বও আগের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ।  

বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় কিছু নেতা এদিক-ওদিক করেছিলেন। তারাও কিন্তু খালেদা জিয়াকে ছেড়ে যাননি। যারা এদিক-ওদিক করেছেন, তারা ফিরে এসেছেন, শুধু তাই নই, আত্মসমর্পণ করে ফিরেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন। আমরা নির্বাচনমুখী দল, নির্বাচনে যেতে চাই। কিন্তু নির্বাচনের নামে কোনো খেলা বা প্রহসনে আমাদের আগ্রহ নেই।  

নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তাকে সঙ্গে নিয়ে তারই নির্দেশনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনের কর্মকৌশল নির্ধারণ করবো এবং জনগণের মুক্তির আন্দোলন, গণতন্ত্রের আন্দোলন এগিয়ে নেবো।  

নজরুলের দাবি, একদলীয় শাসন এবং স্বৈরাচারের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ খালেদা জিয়া। তাই একটা ‘বানোয়াট’ মামলায় তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। দেশের একটি মানুষও বিশ্বাস করে না যে তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তার মরহুম স্বামীর নামে এতিমের ফান্ডে আসা টাকা মেরে খেয়েছেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহ, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
এএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।