এ সময় আইনজীবী সিমকি ইমামও তার সঙ্গে ছিলেন। এর আগে বিকেলে ওকালতনামা নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তার এই দুই আইনজীবী।
অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, কুমিল্লার বাস পোড়ানো মামলায় জামিন নিতে ওকালতনামায় সই করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এই ওকালতনামা নিয়ে আগামী সপ্তাহে কুমিল্লা যাবো।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে আগুনে পুড়ে মারা যান আটজন যাত্রী। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালত আগেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
গত ১২ মার্চ গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে কুমিল্লার আদালতে আবেদন করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বিকেলে আদালতের বিচারক তার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন। একই সঙ্গে ২৮ মার্চ তাকে কুমিল্লার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের কপি ওইদিন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সেখান থেকে কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ২৪ এপ্রিলের মধ্যে তামিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
ওই আদালতের বিচারক কুমিল্লা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নব বেগম এ আদেশ দেন। চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৭৭ জন আসামির মধ্যে ৪৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। জামিনে রয়েছেন ২৯ জন এবং কারাগারে রয়েছেন একজন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
এএম/এমএ