বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমরা আজব দেশে বাস করছি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় খরচে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করছেন, নৌকায় ভোট চাইছেন। সরকারি কর্মচারীদের যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এসব হচ্ছে নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসি এসব দেখেও না দেখার ভান করে সরকারকে সহযোগিতা করছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত করতে বাধ্য করা হবে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আবারও ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারির মতো প্রহসনের নির্বাচন সম্ভব হবে না ভেবেই তারা সবকিছুতেই বেপরোয়া হয়ে গেছে। জনগণকে ভীত-সন্তস্ত্র করে একটা গভীর ও সুদূরপ্রসারী নীলনকশা বাস্তবায়নে দ্রুততার সঙ্গে পা ফেলছে। কিন্তু সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনাদের সব চক্রান্ত ও নীলনকশা জনগণের সম্মিলিত শক্তির অভিযাত্রায় প্রতিহত করা হবে।
দেশে জনগণের সমর্থন না থাকায় আওয়ামী লীগ দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন দেশে দেশে লবিং করতে ঘুরে বেড়াচ্ছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বেশ কয়েকটি দেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। তাই বিদেশি বন্ধুরা তাদের প্রশ্ন করছেন আগামী নির্বাচন কি আবারও ভোটারবিহীন হবে? নাকি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডে আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীরা কিভাবে অপদস্ত হয়েছেন তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাই বলতে চাই, কোনো চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ সফল হবে না।
সরকার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চাইছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান থেকে তার নামফলক, ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়াকে উৎখাত করা হয়েছে। আর এখন শহীদ জিয়া শিশু পার্ক থেকেও তার নাম মুছে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। অন্যের অর্জনকে যারা আত্মসাৎ করে তারাই হচ্ছে ডাকাত, তারাই হচ্ছে দখলদার।
রিজভী বলেন, অন্যায় আর পাপের সাগরে ডুবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি কি ভেবেছেন চিরদিন রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখবেন? আপনার অবৈধ ক্ষমতার মখমলের চেয়ারের চারপায়ে যে উইপোকা ধরেছে সেটি আপনি টের পাচ্ছেন না। পতন কিন্তু বলে-কয়ে আসে না। উত্তরের কালবৈশাখী ঝড়ের মতো যখন সেই গদি উল্টে যাবে, তা অনুধাবন করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮
এএম/জিপি