ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

বিএনপি

‘প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টের হিসাব জনগণ নেবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৮
‘প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টের হিসাব জনগণ নেবে’ প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে ১৭ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। অথচ ডাচ-বাংলা ব্যাংকে আমার কিংবা আমার পরিবারের কোনো অ্যাকাউন্ট নাই। আর আমার যেখানে অ্যাকাউন্ট নাই সেখানে কীভাবে ১৭ কোটি টাকা লেনদেন হলো।

তিনি বলেন, আপনারা যারা অ্যাকাউন্ট খোঁজাখুঁজি করছেন, আপনাদের অ্যাকাউন্টের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে অনেক হিসাব জমা হয়েছে।

এসব অ্যাকাউন্টের হিসাব জনগণ একদিন নেবে এবং তার বিচারও করবে।

সোমবার (৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের সকল গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, আপনারা যারা একাউন্ট খোঁজাখুঁজি করছেন, আপনাদের অ্যাকাউন্টের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। সেই  অ্যাকাউন্ট হচ্ছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন আগেরবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তার পরপরই পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে ৫৭ জন সিনিয়র অফিসার মারা গেছেন। সেটার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনো প্রকাশ হয়নি। এটা শেখ হাসিনার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।

শেয়ারবাজারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ড. মোশাররফ বলেন, লাখো লাখো বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়ে তাদের টাকা লুট করা হয়েছে। একটা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে যাদের নাম এসেছে তাদের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, তাদের হাত অর্থমন্ত্রীর চেয়ে লম্বা, অনেক বেশি প্রভাবশালী। তাহলে এটা কার হাত? এটাও প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ খাতে, যেখানে পার ইউনিট ২ টাকা ৫০ পয়সা ছিল তা এখন ১০ টাকা পার হয়েছে। সাধারণ মানুষের পকেট কেটে যে টাকা নেওয়া হচ্ছে তার হিসেবও প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে। ব্যাংক লুট ও রিজার্ভ লুটের বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে জানান ড. মোশাররফ।

তিনি বলেন, গুম, খুন ও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে নির্যাতন করছেন এসব বিষয়েও শেখ হাসিনার নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। আর এসব কাজের জন্যই আন্তর্জাতিকভাবে আপনাদের স্বৈরাচারী সরকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, জাতি হিসেবে আমাদের জন্য কলঙ্কের। এটারও কিন্তু অ্যাকাউন্ট প্রধানমন্ত্রীর নামে খোলা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টের হিসাব জনগণ একদিন নেবে এবং তার বিচারও করবে।

‘শফিউল বারী বাবু ও ইয়াসিন আলী মুক্তি পরিষদের’ সভাপতি হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
এএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।