বুধবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী সম্মিলিত পরিষদ’ এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ক থা বলেন। ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদ জিয়া এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শফিউল বারী বাবু ও ইয়াছিন আলীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’তে এ সভার আয়োজন করা হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অনেকেই আমাদের প্রশ্ন করে কেন আমরা আন্দোলন গড়ে তুলছি না? কিন্তু আমরা আন্দোলনের ধারায় বিশ্বাসী। প্রথমে শান্তিপূর্ণ কার্যক্রম, এরপর দাবি আদায়ে কঠোর আন্দোলন। আওয়ামী লীগ এখন আমাদের কথা শুনছে না, যখন কঠোরভাবে বলবো তখন অবশ্যই শুনবে। কঠোর আন্দোলনের সামর্থ্য আমাদের আছে। আমরা খালেদা জিয়ার নির্দেশে ও তারেক রহমানের পরামর্শে কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, সহজভাবে দাবি ‘টেস্ট’ করে যাচ্ছি বলেই আওয়ামী লীগ সব দোষ আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে পারছে। আওয়ামী লীগ নেতারা গণতন্ত্রকে জবাই করে কবর দেয়। আর দোষ দেয় জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ওপর। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কারণেই তারা এ সাহস পাচ্ছে। তবে বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলনসহ সারাদেশের জনসমাবেশ দেখে আওয়ামী লীগ বেশ চিন্তিত। যে কারণে খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে নিয়ে তারা যথেষ্ট আলোচনা-সমালোচনা করছে। তারা এটাও জানে বিএনপি কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে পারবে।
দুর্নীতির কারণে সারাদেশের সাধারণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, কোনো দোষ ছাড়াই এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। দেশের ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজির কারণে শান্তি মতো ব্যবসা করতে পারছে না। আর এসব চাঁদাবাজদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়েরও সংযোগ রয়েছে। এ কারণে দেশের সাধারণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সাধারণ জনগণেরও টার্গেট মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, দেশের ক্ষমতায় রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বৈরাচারী শাসক। আর তাদের তথাকথিত বিরোধী দলে রয়েছে জাতীয়ভাবে স্বীকৃত স্বৈরাচারী শাসক। এদের দ্বারাই দেশ পরিচালিত হচ্ছে বলেই দূরাবস্থার সৃষ্টি।
সংগঠনটির আহ্বায়ক আমির আমজাদ মুন্নার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বেলাল হোসেন, আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহীনসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এমএএম/এইচএ/