বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০দলীয় জোটের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। রাত ৮টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়।
গয়েশ্বর বলেন, জনগণের সমর্থন আমাদের পক্ষে রয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে আমরা এই নির্বাচনে জয় লাভ করবো। নির্বাচনী কাজের সুবিধার্থে গাজীপুরে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও খুলনায় আমাকে (গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ২০ দলকে সমন্বয় করার জন্য আরো দু’টি সমন্বয় উপকমিটি আছে। এ সমন্বয় কমিটিতে ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে খুলনা ও গাজীপুরে মোস্তাফা জামাল হায়দারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। আবার বসে মীমাংসা করা হবে।
সভায় জামায়াতের প্রতিনিধি না থাকার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে তারা অনেক সময় আসতে পারে না। আজকে না আসার বিষয় ইচ্ছাকৃত না। যেহেতু অনেককে অনেক সময় আত্মগোপনে থাকতে হয়, সে জন্যেই হয়তো বা আজকে আসতে পারে নি। এর অর্থ এই না যে তারা আজকে বৈঠক বয়কট করেছে। তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ পরেও বৈঠক হতে পারে।
জোটের সমন্বয়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত আছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, বাংলাদেশ পিপলস্ লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যেজোটের (একাংশ) আবদুর রকিব, ন্যাপ-ভাসানীর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মহিউদ্দিন একরাম, এলডিপির শাহাদত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এইচ এম কারুজ্জামান, এনডিপির খন্দকার গোলাম মুর্তজা ও সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ