শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা ও ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৃতীয় জানাজা হয়।
এরপর তার মরদেহ নিয়ে ছেলে সাইফুল ইসলাম বাবুসহ আত্মীয় স্বজনেরা মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী রওয়ানা হয়ে যান।
এদিকে নয়াপল্টনে সকাল ১০টা থেকেই দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে থাকেন। ১১টার কিছু আগে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছে। এখানে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জানাজায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, আহমেদ আযম খান, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মিজানুর রহমান মিনু, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার, আবুল হোসেন খান প্রমুখ অংশ নেন।
জানাজার আগে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এম শামসুল ইসলাম একজন বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ছিলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি এই দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকা ও সারাদেশের মানুষের জন্য আজীবন কাজ করেছেন। তার মৃত্যুতে বিএনপির যে অপূরণীয় ক্ষতি হলো তা পূরণ হওয়ার নয়। আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। ’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব গুলশান আজাদ মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে মরদেহ রাখা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৮
এমএইচ/এএটি