শনিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নেত্রীর মুক্তির পরেই নির্বাচনের কথা চিন্তা করবো।
‘এ সরকারের সময় যে সম্প্রদায়ের মানুষ কম, তাদের ওপরই বেশি আক্রমণ হয়েছে। কারও কথা বলার অধিকার নেই। কথায় কথায় হত্যা গুম করা হয়। ’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে আসার আগে আমরা নেত্রীর সঙ্গে কারাগারে দেখা করে এসেছি। বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে তিনি আপনাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে বলেছেন। ’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন এই সরকার জনগণের নেত্রীকে কারাগারে আটকে রেখেছে। আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসার সময় তিনি হাঁটতে পারছিলেন না। হাতে ও পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা। তার চিকিৎসার জন্য বার বার অনুরোধ করার পরও তাকে নূন্যতম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। আজকের এই দিনে জাতীয়তাবাদী দর্শনকে ধারণা করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করার শপথ নিতে হবে। আমরা নেত্রীকে মুক্ত করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করবো। ’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা সুকোমল বড়ুয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘বুদ্ধপূর্ণিমার দিনে প্রতি বছর নেত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকি। আজ তিনি এখানে নেই কেন? এই প্রশ্নের জবাব কে দেব?’
তিনি বলেন, ‘কারাগারে গিয়ে নেত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে আবেদন করে ছিলাম। কিন্তু আমাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এজন্য সরকারের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করছি। সরকার কাজটি ভালো করেনি। ’
বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্ব করেন শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম মহানগরী বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সুশীল বড়ুয়া, রঞ্জিত রায়, সনৎ তালুকদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৮
জিপি