তিনি বলেন, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদককে থানায় ডেকে নিয়ে পুলিশ হুমকি দিয়ে বলেছে র্যালিও করা যাবে না।
মঙ্গলবার (০১ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান খালি পড়ে আছে। কেউ যায়নি সেখানে। কিন্তু আমাদের দেয়া হলো না। কেন দেয়া হলো না? সরকারের কাছে রিপোর্ট আছে বিশাল মিছিল হবে, শ্রমিকদলের উদ্যোগে। সরকার চায় না যে জাতীয়তাবাদী আদর্শের পক্ষে মিছিল হোক, স্লোগান হোক।
সরকার চায়নি বলেই এই মিছিল করতে দেওয়া হয়নি অভিযোগ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বলতে চাই এই জুলুম অনাচার অত্যাচার একদিন আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। যে কথা তারা শুনতে চান না সে কথাই উচ্চারিত হবে আরও জোরে আরও বেশি মানুষের কণ্ঠে।
তিনি বলেন, আইনি ভাবে তো এখনো বাকশাল কায়েম করা হয়নি। এখনো ৭৫ সালের মতো একদলীয় শাসন কায়েম করা হয়নি। তাহলে প্রধান বিরোধী দলের সমাবেশে কেন বাধা দেওয়া হলো। এমন যদি হয় বিএনপি বা তাদের অঙ্গ সংগঠন মিছিল সমাবেশ করতে পারবে না, তাহলে এটা আইন করে দিক। সরকারি নির্দেশনা জারি করে দেওয়া হোক। সারা দুনিয়া জানুক যে, এখানে বিরোধী দলকে সমাবেশ মিছিল করতে দেওয়া হয় না।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। এটি শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দিবস। বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার এখনো আদায় হয়নি। শ্রমিকদলকে অনুমতি না দেয়া, সবেচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে জেলে রাখা, গাজীপুর খুলনায় নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার; সব একই সূত্রে গাঁথা।
শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন বলেন, সোমবার সারাদিন পুলিশের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করলেও পুলিশ নিশ্চুপ থাকে। সন্ধ্যা ৭টায় পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডেকে র্যালি করার অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল রেজিস্ট্রিকৃত শ্রমিক সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও শ্রমিক সমাবেশ করতে না দেওয়ায় আবারও সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, পুলিশ একদলীয় কর্তৃত্ববাদী সরকারের ভূমিকা পালন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ