বৃহস্পতিবার (১০ মে) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, সুশাসন, জবাবদিহিতার অভাব, দুর্নীতি, লুটপাট, নীতিহীনতা, বিশৃঙ্খলা সব মিলিয়ে এক নৈরাজ্যকর অবস্থায় রয়েছে বর্তমান ব্যাংকিং খাত।
তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলো তীব্র তারল্য সংকটে জর্জরিত। ধার-দেনা করে চলছে দেশের বেশিরভাগ ব্যাংক। আমানতকারীরা লাইন ধরে আমানতের টাকা ফেরত নিতে চাচ্ছে। তহবিলের অভাবে চেক বাউন্স হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অনুমোদনপ্রাপ্ত ঋণও ফেরত নেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ব্যাংকাররা। অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব প্রকট হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে ব্যাংকের মালিকানা জোর করে বদল হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর স্বয়ং উদ্বিগ্ন হয়ে মন্তব্য করেছেন যে, ‘একটি বেসরকারি ব্যাংক খারাপ অবস্থায় পড়ে গেছে। এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারি ব্যাংক থেকে আমানত সরিয়ে নিতে চাইছে। একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই আতঙ্ক আগে শেয়ার বাজারে ছিল, এখন ব্যাংকে চলে আসছে। ’
অথচ অর্থমন্ত্রী পরিস্থিতি গুরুতর নয় বলে দাবি করছেন। অর্থনীতির অবস্থা আর কত তলানিতে নামলে সরকারের কাছে 'গুরুতর' বিবেচিত হবে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা 'নাই' হয়ে গেল, তাতে সরকারের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। কারণ বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের জনগণের কাছে কোনো দায়ববদ্ধতা নেই। তারা মনে করে, পুনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে তাদের জনগণের ভোটের দরকার নেই। তাই দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি ব্যাংকিং সেক্টরকে লোপাট করে আরও টাকার পাহাড় গড়তে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অর্থনীতির বারোটা বাজলে তাদের কিছুই আসে যায় না। দুর্নীতিগ্রস্ত ফ্যাসিস্ট সরকারের এহেন গণবিরোধী অর্থনীতি বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড জনগণ কখনও ক্ষমা করবে না। একদিন জনতার আদালতে এদের বিচার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ