রোববার (১৩ মে) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা। বৈঠকে মৌখিকভাবে ব্রিফ ও পরে প্রত্যেকের হাতে একটি করে ফাইল ধরিয়ে দেয় বিএনপি।
লিখিত বক্তব্যে কী লেখা আছে তা সাংবাদিকদের জানায়নি কোনো পক্ষই। জানা গেছে, লিখিত কাগজের সঙ্গে কিছু ছবিও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মৌখিক কোনো কথা হয়নি। যা বলা হয়েছে লিখিতভাবে দেওয়া হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আমি দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি না। যা বলার মহাসচিব বলবেন।
এ সময় সাংবাদিকরা চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষীরা বলেন, আজকে প্রবেশ করতে দেওয়া নিষেধ আছে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিস্তারিত লিখে জানানো হয়েছে। খুলনায় দলীয় নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত ওই বক্তব্যে। এ ক্ষেত্রে গাজীপুর ও খুলনায় পুলিশের তাণ্ডবকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
বিকাল সোয়া চারটা থেকে সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত বৈঠক চলে। এরপর এক এক করে কূটনীতিকরা চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে চলে যান। তবে তারা কোনো মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেননি।
বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ও পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জাপান, রাশিয়া, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি ও ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, নির্বাহী সদস্য জেবা খান ও তাবিথ আউয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ