৪ মে মোস্তফা কামালের আবেদনটি খারিজ করে দেন দেশটির ওই আদালত। তবে কানাডার ফেডারেল কোর্টের ওয়েবসাইটে এই রায়ের নথি সংযুক্ত করা হয়েছে ১৮ মে।
রায়ে আবেদনকারী মোস্তফা কামালের রিভিউ খারিজের কারণসহ এর স্বপক্ষে ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। রায়ে বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ বলে কানাডার মন্ত্রীর বক্তব্যকেই প্রাধান্য দিয়েছেন ফেডারেল কোর্ট।
রায়ে বলা হয়েছে, মোস্তফা কামালের রিভিউ আবেদনের পর ফেডারেল কোর্টের পক্ষ থেকে জননিরাপত্তা ও জরুরি তৎপরতা বিষয়ক মন্ত্রীর দাবির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কানাডার অভিবাসন ও শরণার্থী বোর্ডের অভিবাসন বিভাগকে (আইডি) দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জননিরাপত্তা ও জরুরি তৎপরতা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধি সিবিএসএ-এর প্রতিবেদন রেফারেন্স হিসেবে তুলে দেয়।
ওই প্রতিবেদনসহ সম্পূর্ণ বিষয়টি যাচাই ও পুনর্বিবেচনা করে এবং পরবর্তী শুনানিতে দেশটির একজন মন্ত্রীর যুক্তি পর্যালোচনা করে আগের বক্তব্যই সঠিক বলে সিদ্ধান্তে আসে আইডি।
এসব বক্তব্য আমলে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর যৌক্তিকতা রয়েছে বলে রায় দেন আদালত। পাশাপাশি মোস্তফা কামালের আপিল আবেদন খারিজ করে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
রায়ে আদালত বলেন, কানাডার অভিবাসন ও শরণার্থী সুরক্ষা আইনের (আইআরপিএ) প্রেক্ষিতে আইডি-এর সিদ্ধান্ত যথেষ্ট যৌক্তিক।
জানা যায়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে কানাডায় আশ্রয়প্রার্থী হন মোস্তফা কামাল। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দক্ষিণ ছত্রা এলাকায়। তার সম্পর্কে প্রতিবেদনে ইডি উল্লেখ করেছে, ২০০৫ সালে যুবদলের রাজনীতিতে যোগ দেন মোস্তফা কামাল। পরে অল্পদিনের মধ্যেই মূল দল বিএনপির সদস্য হয়ে যান তিনি। ২০০৬ সালে যুবদল কুমিল্লা জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক হন মোস্তফা কামাল।
২০১৪ সালে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠন যুবদলসহ অন্যরা দেশজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। এতে সাধারণ মানুষের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে তার বিষয়ে কানাডীয় সরকার আদালতকে জানায়, মোস্তফা কামাল বাংলাদেশে বিএনপি নামে যে রাজনৈতিক দলের সদস্য পরিচয়ে আশ্রয় চাচ্ছেন, সেই রাজনৈতিক দল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
এমএ/