বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বিকেলে রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
সেলিম বলেন, ‘আমি ৩৯ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আসছি।
‘বিগত একবছর থেকে আমি তৃণমূলের নেতাকর্মীর চাপে নির্বাচনে প্রার্থী হই। পবিত্র ওমরাহ পালনে থাকাকালে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিছু মিডিয়া আরিফুল হক ধানের শীষ পেয়েছেন বলে সংবাদ প্রচার করে। অথচ কাউন্সিলে সিলেটের সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলাম আমি। কিন্তু কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত লন্ডনে গিয়ে নমিনেশন বিলম্বিত হয়েছে। কোনো কারণে আবার সে (আরিফ) মনোনয়ন পেয়েছে?’
এ ঘটনায় সন্দিহান, বিস্মিত ও দুঃখিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, সিলেটের সিংহভাগ নেতা-কর্মী আরিফের পক্ষে নয়।
বদরুজ্জামান সেলিম বলেন, ৩৯ বছরের রাজনীতিতে আমি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাইনি। এবার আমি আমার দলের নেতা-কর্মীর চাপের মুখে নমিনেশন জমা দিয়েছি। ফলে ২৭ ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা ৩০ তারিখ ভোটের মাধ্যমে জবাব দেবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দল কাউকে মনোনয়ন দিলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে হলেও অনেকে সঙ্গে আসেন। দলের মনোনয়ন হয়ে গেছে যে কারণে মনের ইচ্ছায় কেউ আসেননি।
দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলেও নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সেলিম বলেন, ‘আপনারা নারায়ণগঞ্জ দেখেছেন। দলের প্রধান আরেকজনকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন, জনগণ তাকেই বেছে নিয়েছে। যে কারণে আগামী ৩০ জুলাই সিসিক নির্বাচনেও ভোটের মাধ্যমে জনগণ এর জবাব দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এনইউ/এমএ