শনিবার (৩০ জুন) দুপুরে রাজশাহী মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় মিনু এ কথা বলেন। চেয়ারপারসন জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবিতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় মিজানুর রহমান মিনু বলেন, বিগত কয়েক বছরে বিএনপি রাজশাহীতে জয়ী হয়ে এসেছে। আগামী ৩০ জুলাই নির্বাচনে আবারও প্রমাণ হবে রাজশাহীর মাটি জিয়ার স্বপ্ন পূরণের মাটি। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশন বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে অযোগ্য। তার দ্বারা দেশের কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ হয়নি। গত নির্বাচনেও ভোট কারচুপির মাধ্যমে আমাদের ভোট ছিনিয়ে নিয়েছে।
মিনু বলেন, ‘৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজশাহীর সব উন্নয়ন বিএনপি সুনিশ্চিত করেছে। এখানে অন্য কারো কোনো অবদান ছিল না। আমাদের ধারাবাহিক কিছু কাজ এখনও অসম্পূর্ণ আছে। এ অবৈধ সরকার প্রধান রাজশাহী, রংপুর, খুলনা বিভাগে ব্যাপক বৈষম্য করেছে। এ এলাকায় কোনো উন্নয়ন নেই। তাই আগামী মেয়র নির্বাচন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকারকে জবাব দেবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়যুক্ত করে এ অবৈধ সরকারকে আমরা বহিষ্কার করবো।
এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, প্রশাসন যদি খুলনা এবং বরিশালের মতো রাজশাহীতে আমাদের কর্মী বাহিনীর ওপর নির্যাতন করার চেষ্টা করেন তাহলে বুকের রক্ত দিয়ে হলেও কর্মীদের রক্ষা করবো।
সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, আগামী ৩০ জুলাই নির্বাচনে বিএনপির ওপর কোনো বাধা আসলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। ভোটের দিন আমাদের সব নেতা-কর্মী ও দায়িত্বরতরা নিজ নিজ সেন্টারে দাঁড়িয়ে থাকবেন দেখি কে ভোট ডাকাতি করতে পারে।
সভায় রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন-রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, মহানগর বিএনপির দফতর সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, মহানগর যুবদল সভাপতি আবুক কালাম আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/