বুধবার (১৮ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে ফখরুল এ কথা বলেন।
দেশের চলমান সংকট তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের ঐক্য হচ্ছে, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকধারী প্রার্থীর গণসংযোগ কর্মসূচিতে ককটেল বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে তারা (আওয়ামী লীগ) সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, ‘এখন বলবে, আমরা মেরেছি। কিন্তু আমরা মারিনি’। এটাই প্রমাণ করে আপনারাই (আওয়ামী লীগের নেতারা) মেরেছেন। নির্বাচনকে বিতর্কিত করছেন। নির্বাচন তো শেষ হয়ে গেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা আর নেই। এটা এখন খেলা খেলা চলছে। তামাশা চলছে। এরপরও আমরা তামাশায় যাচ্ছি। কারণ জনগণ চায় আমরা অংশগ্রহণ করি। আমরা তাদের মুখোশ উন্মোচন করি। চেহারা খুলে ধরি। তাই আমরা যাচ্ছি। তবে এই যাওয়া চিরস্থায়ী নয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে বলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দাবি করলেও তা নাকচ করে দেন মির্জা ফখরুল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে সোনার পরিবর্তে সব নকল জিনিসপত্র রাখা হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বহু টাকা হ্যাকিং করে নিয়ে গেলো। তার প্রতিবেদন আজ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। অর্থমন্ত্রী বলছেন, যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের হাত অনেক লম্বা। লম্বা হাত যদি থাকে, তাহলে তাদের দিয়ে আপনি (অর্থমন্ত্রী) চলে যান না কেন? বারবার আপনি এ ধরনের লোকদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন। আর সরকারের যে ইচ্ছে, সেই ইচ্ছে পূরণ করছেন। আপনারা (অর্থমন্ত্রী) বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সম্পূর্ণ ফোকলা করে দিয়েছেন।
বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদেরের এ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এ ধরনের কথা তিনি প্রায়ই বলেন এবং এ ধরনের কথা বলে তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য প্রায় পরিষ্কার, যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা তাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে রাখবে। ৫ জানুয়ারির মত আরেকটি সাজানো নির্বাচন করে তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে। দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত করবে। এটাই তাদের লক্ষ্য।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান। সংগঠনের সদস্য সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কাদের গণি চৌধুরী, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/