ঢাকা, শনিবার, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

সড়ক পরিবহন আইনে অনেক অসঙ্গতি: ২০ দল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৮
সড়ক পরিবহন আইনে অনেক অসঙ্গতি: ২০ দল ২০ দলীয় জোটের বৈঠক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় অনেক অসঙ্গতি আছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এই আইনের মধ্যে অনেকগুলো অসঙ্গতি আছে।

এক নম্বর অসঙ্গতি হচ্ছে যে, ট্রান্সপোর্টের মালিকদের সম্পর্কে খসড়া আইনে কোনো কিছু বলা নাই। দ্বিতীয়, যদি  দুর্ঘটনায় কারো মৃত্যু ঘটে, সেখানে বলা হয়েছে যে, যদি হত্যার উদ্দেশ্য, নিয়মনীতির বাইরে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনায় কেউ মারা যায় তার সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচবছর।

শিক্ষার্থীদের দাবি  ছিল এটা মৃত্যুদণ্ড, সর্বোচ্চ শাস্তির যে দাবি ছিল সেটা এই খসড়া আইনে নেই।   এতোদিন বলা হলো যে, আমরা আইন আনছি, আইন করছি- এখন কিন্তু দেখা গেলো যে, কোটার মতোই অবস্থা দাঁড়িয়ে গেলো। এটি আরেকটি প্রতারণা।

বিএনপি মহাসচিব সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন হয়েছে। এটা এখনও পাস হয়নি। আমরা আশা করবো যে, এটা আইন হওয়ার আগে বিষয়টি আবার তারা বিবেচনায় নিয়ে দেখবেন এবং বিষয়গুলো শেষ করার চেষ্টা করবেন।

বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে জোটের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হামলা, আলোকচিত্রীদের ওপর নির্মম নির্যাতন, প্রবীণ আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে গ্রেফতারের ২০ দল নিন্দা জানাচ্ছে।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

বৈঠকের দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নিরাপদ সড়কের দাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষমতাসীন দল ও পুলিশের হামলা, বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জোটের ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা অ্যাডভোকেট  এম এ রকীব, খেলাফত মজলিশের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণপার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার তাসমিয়া প্রধান, খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির খন্দকার গোলাম মোর্তুজা, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, আমিনুল হক, জাতীয়পার্টি (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৮
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।