নিহত রাজু নগরের উপশহর ‘এ’ ব্লকের ৯ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাসার বাসিন্দা ফজর আলীর ছেলে এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা এমরান-নাচন-আজিজ গ্রুপের কর্মী বলে পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কুমারপাড়াস্থ বাসার সামনের রাস্তায় ছাত্রদলের আব্দুর রকিব চৌধুরী-রজব গ্রুপের ও নাচন আজিজ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
গুরুতর আহতাবস্থায় ছাত্রদলের উপশহর গ্রুপের রাজু, উজ্জ্বল ও অজ্ঞাত আরেকজনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচার কক্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজু আহমেদের মৃত্যু হয়।
ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. দেবব্রত রায় বাংলানিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়র পদে বিজয়ী আরিফুল হক চৌধুরীকে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বোরোনোর পর বিজয় মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি কুমারপাড়া গিয়ে পৌঁছালে নিজ বাসভবনে চলে যান আরিফুল হক চৌধুরী।
এরপর কমিটি নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে আরিফের বাসার সামনের সড়কে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রকিব চৌধুরী গ্রুপের নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা পদবঞ্চিত ছাত্রদলের কর্মীদের কুপিয়ে জখম ও গুলি করেন। আহতদের রক্তে রাস্তা রঞ্জিত হয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ছাত্রদলের উপশহরের রকিব ও রজবের নেতৃত্বে মোস্তাফিজ, রাসেল, জাহাঙ্গীর, এনামুল হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর নগরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন সংঘর্ষের একজন নিহতের খবর নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮/আপডেট ০০৩২ ঘণ্টা
এনইউ/এমজেএফ