কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ার পর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে তার পরিবারের ছয় সদস্য কারাগারে প্রবেশ করেন।
প্রথমে খালেদার স্বজনদের ২০ জনের একটি তালিকা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হলেও কারাগারে যাওয়ার অনুমতি পান ছয়জন।
কারাগারে খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, তার মেয়ে জাফিয়া রহমান, খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম, বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম, ভাই সাঈদ এস্কান্দরের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দার, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু।
বাকিরা অনুমতি না পেয়ে কারাফটক থেকেই ফিরে যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাক্ষাতে খালেদা জিয়া বোন, ভাবি ও স্বজনদের বুকে জড়িয়ে নিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি স্বজনদের নাম ধরে সবার খোঁজ-খবর নেন। জানতে চান পরিবার ও স্বজনদের শিশুরা কেমন আছে, ঈদ কেমন কাটছে।
এর আগে দলের সিনিয়র নেতারা সাক্ষাতের জন্য দুপুরে কারাগারের সামনে গেলে তাদের সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার পর বিএনপি চেয়ারপারসনকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারগারে রাখা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন তার গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম।
দীর্ঘ ৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে খালেদা জিয়ার চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে। গত রমজানের ঈদও কেটেছে কারান্তরীণ অবস্থায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
এমএইচ/এমএ